স্কুল-কলেজের কেউ করোনা আক্রান্ত হলে সে ক্ষেত্রে ক্লাস বন্ধ রাখতে হবে। এটাই নির্দেশ রাজ্য সরকারের। কিন্তু, সেই নির্দেশ অমান্য করে ক্লাস চলল দক্ষিণ ২৪ পরগনার একটি কলেজে। এই অভিযোগ উঠেছে ফলতার সাধনচন্দ্র কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে কলেজের অন্দরে।
কলেজের পড়ুয়া এবং শিক্ষা কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন কলেজের এক শিক্ষাকর্মী। করোনা সন্দেহে তিনি নমুনা টেস্ট করিয়েছিলেন। মঙ্গলবার করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে। অভিযোগ, কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানার পরেও ক্লাস চালিয়ে গিয়েছে। পরের দিন বুধবার কলেজে ক্লাস হয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই শিক্ষাকর্মী বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করেই কলেজে এসেছিলেন। সেক্ষেত্রে কলেজ কর্তৃপক্ষ স্যানিটাইজেশন করার ব্যবস্থা করেনি বলে অভিযোগ।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলেজের শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী এবং পড়ুয়াদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তাদের বক্তব্য, কলেজে কারও করোনা হলে সেক্ষেত্রে ক্লাস বন্ধ রাখার নিয়ম থাকলেও তা করা হয়নি। যদিও এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ শেখ ফজলুল হক দাবি করেছেন, 'অফলাইনে ক্লাস হয়নি কলেজে এদিন ক্লাস হয়েছে অনলাইনে।' আপাতত কয়েকদিন অনলাইনে ক্লাস হবে বলে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন।
সেইসঙ্গে কলেজ স্যানিটাইজেশন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। তার আরও বক্তব্য, এখন কলেজে ফর্ম ফিলাপ চলছে। সেই কারণে অনেকেই কলেজে আসতে হচ্ছে। তবে ক্লাস হয়নি বলে তিনি দাবি করেছেন।
উল্লেখ্য, সরকারি স্কুল কলেজগুলোতে শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের পরিবারের কেউ করোনা আক্রান্ত হলে সেক্ষেত্রে তাদের নিভৃতবাসকে ছুটি হিসেবে গণ্য করা হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল-কলেজের শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ আলাদাভাবে জারি না করায় ইতিমধ্যেই অসন্তোষ ছড়িয়েছে সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল-কলেজের শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের মধ্যে। সেক্ষেত্রে তাদের নিভৃতবাসকেও ছুটি হিসেবে গণ্য করার দাবি জানিয়েছেন তারা।