স্কুল চলাকালীন আত্মহত্যার চেষ্টা করল এক ছাত্রী। আর এই ঘটনায় মানসিক অবসাদ নিয়ে চর্চা তুঙ্গে উঠল। কারণ পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরেই স্কুলের বারান্দা থেকে ঝাঁপ দিয়েছিল এই ছাত্রী। স্কুল চলাকালীন এই ঘটনা কী করে ঘটল? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছাত্রীকে বারাসত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে বারাসতে।
ঠিক কী ঘটেছে বারাসতে? স্থানীয় সূত্রে খবর, বারাসতের কালীকৃষ্ণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। এদিন স্কুলে ভুগোল পরীক্ষা ছিল। কিন্তু তখন সবার চোখে ফাঁকি দিয়ে বাইরে বেরিয়ে যায় ওই ছাত্রী। তখন অবশ্য পরীক্ষা শেষ হয়ে গিয়েছে। তারপরই একটা শব্দ সবাই শুনতে পান। ছুটে গিয়ে সবাই দেখেন, স্কুলের দোতলা বারান্দা থেকে ঝাঁপ দিয়েছে ছাত্রীটি। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে মাটিতে। তখন বারাসত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার খবর পেয়েই সেখানে আসে বারাসত থানার পুলিশ। এখন শারীরিক অবস্থায় স্থিতিশীল বলেই হাসপাতাল সূ্ত্রে খবর। তবে ছাত্রীটির মাথায় এবং পায়ে গুরুতর চোট লেগেছে।
কেন এমন চরম পদক্ষেপের চেষ্টা? সূত্রের খবর, পারিবারিক সমস্যার জন্যই ছাত্রীটি মানসিক অশান্তির মধ্যে ছিল। তবে এমন কোনও পদক্ষেপ সে গ্রহণ করবে তা কেউ ভাবতেও পারেনি। ছাত্রীর মানসিক অবস্থার বিষয়ে তার পরিবারকে জানানো হয়েছিল। আবার ছাত্রীটি আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিল নাকি এর নেপথ্যে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে? তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
স্কুল ঠিক কী তথ্য পেয়েছে? স্কুল সূত্রে খবর, কয়েকদিন ধরে ওই ছাত্রীর আচার–আচরণ থেকে শুরু করে চালচলন স্বাভাবিক ঠেকছিল না শিক্ষিকাদের। জীবনবিজ্ঞান পরীক্ষা দিয়েছিল ওই ছাত্রী। আর সেই খাতা দেখে শিক্ষিকাদের সন্দেহ আরও বাড়ে। তখন ওই ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের স্কুলে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। এমনকী ছাত্রীর বাবা–মায়ের সঙ্গে শিক্ষিকাদের আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। তাকে কাউন্সেলিং করার কথা বলতে চেয়েছিল স্কুল। কিন্তু তার জানানোর আগেই এমন ঘটনা ঘটে গেল।