কবে থেকে খুলবে স্কুল–কলেজ? জানেন না স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নিজেই। করোনা সংক্রমণের ভীতিতে স্কুলে নিষিদ্ধ মোবাইল ফোনেই চলছে ই–স্কুল। তবে আগামী সেপ্টেম্বরের শেষের দিক বা অক্টোবরে কয়েকটি উঁচু ক্লাসের পড়ুয়াদের জন্য স্কুল খোলার একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কিন্তু তার আগেই পড়ুয়াদের জন্য ক্লাস খুলে দিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর ১ ব্লকের হাট সরবেড়িয়া বিধানচন্দ্র রায় উচ্চবিদ্যালয় স্কুল। যদিও বিতর্ক তৈরি হতেই ফের স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার ১৫০ জন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫০ জন স্কুলে এসে ক্লাস করে যায়। প্রধান শিক্ষক বৃন্দাবন ঘটক জানান, নির্দিষ্ট দূরত্ববিধি মেনে, মাস্ক পরে ক্লাস করেছে সকলে। থার্মাল স্ক্রিনিং করিয়ে পড়ুয়াদের দেহের তাপমাত্রা মাপার পড়েই স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হয়। ব্যবহার করা হয়েছে স্যানিটাইজারও। তিনি বলেন, ‘দাসপুরের মতো জায়গায় অনলাইন ক্লাস বাস্তবে সম্ভব নয়। তাই বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করাতে অভিভাবকরা প্রতিনিয়ত আবেদন করতে থাকেন। স্কুল পরিচালন কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে শিক্ষা দফতর নির্দেশ দিলে ক্লাস করানো হবে না।’ ইতিমধ্যে স্কুলের প্রধান শিক্ষক বৃন্দাবন ঘটককে শোকজ করেছে স্কুল শিক্ষা দফতর।
এদিনের ঘটনার পরই শুরু হয়েছে বিতর্ক। দাসপুরের ওই স্কুলের এই উদ্যোগের নিন্দা জানিয়ে তৃণমূল শিক্ষা সেলের রাজ্য নেতা সুজিত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এভাবে সরকারের উর্ধ্বে গিয়ে কি এ সব করা যায়? প্রশাসনের উচিত যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া।’ বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন বলে জানান ঘাটালের মহকুমাশাসক অসীম পাল। তবে এই উদ্যোগে খুশি ক্লাস করতে আসা পড়ুয়া ও তাদের অভিভাবকরা।