মাছ ধরতে গিয়ে ধরতে গিয়ে ঘটল বড় বিপদ! একেবারে জ্যান্ত কই মাছ আটকে গেল মৎস্য ব্যবসায়ীর শ্বাসনালীতে। তীব্র শ্বাসকষ্টে প্রাণ হয়ে উঠেছিল ওষ্ঠাগত। অবশেষে জটিল অস্ত্রপচারের ফলে প্রাণ ফিরে পেলেন মৎস্য ব্যবসায়ী। এমনই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর থানার অন্তর্গত নছিপুর গ্রামে। অস্ত্রোপচারের পরে আপাতত সুস্থ রয়েছেন তাপস মাইতি নামে বছর চল্লিশের ওই মৎস্যজীবী। বর্তমানে তাঁকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
কী ঘটেছিল?
সাধারণত মৎস্য ব্যবসায়ীরা পুকুর বা জলাশয়ে মাছ ধরার সময় মুখের ভিতরে মাছ রেখে দেন। সেরকমই মাছ ধরার সময় অন্যান্য দিনের মতোই মুখের ভিতর একটি জ্যান্ত কই মাছ রেখে দিয়েছিলেন তাপস মাইতি। মাছ ধরার সময় অসাবধানবশত কই মাছটি ঢুকে যায় শ্বাসনালীর ভিতরে। যার ফলে ঘটে বড় বিপদ। শ্বাসনালীতে মাছ আটকে যাওয়ায় শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাপস মাইতির। তাঁর সঙ্গীরা ওই গলা থেকে কই মাছকে টেনে বের করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। প্রচুর রক্তপাত হয় তাপস মাইতির গলা থেকে। অবস্থা বেগতিক বুঝে তখন তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় চণ্ডীপুর হাসপাতালে।
কই মাছের শক্ত পাখনা এমনভাবে শ্বাসনালীতে আটকে গিয়েছিল যে চিকিৎসকরাও মাছটিকে টেনে বের করতে পারছিলেন না। অবশেষে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালের ইএনটি স্পেশালিস্ট রত্নদ্বীপ ঘোষের নেতৃত্বে ওই মৎস্য ব্যবসায়ীর গলায় জটিল অস্ত্রোপচার করা হয়। অবশেষে কই মাছটিকে মৎস্য ব্যবসায়ীরা শ্বাসনালী থেকে বের করতে সক্ষম হন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকদের মতে, আর কিছুক্ষণ দেরি হলে হয়ত বাঁচানো সম্ভব হতো না ওই মৎস্য ব্যবসায়ীকে।