কেষ্ট দিদির প্রিয় পাত্র। আর তার জেলায় কিনা মিউটেশনে সমস্যা! এ কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। তাই প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী উষ্মাপ্রকাশ করেন। ব্যস, জমির সমস্যা জলের মতো সমাধান হয়ে গেল। মুহূর্তের মধ্যেই বোলপুরে চিকিৎসকের জমির মিউটেশন সম্পন্ন হল। বীরভূম জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, বুধবার রাতেই চিকিৎসকের ওই আবেদনে সিলমোহর পড়ে।
বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। তাই এইটুকু তো করতেই হবে। তার উপর কেষ্টর ভাবমূর্তি বজায় রাখার তাগিদ। তাই ঝাড়গ্রামের প্রশাসনিক সভায় উষ্মাপ্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী উদাহরণ হিসাবে তিনি কলকাতার বাসিন্দা এক চিকিৎসকের প্রসঙ্গও তোলেন। সুতরাং তাঁর কাছে সব খবর আছে বুঝিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তাতেই বিদ্যুৎ গতিতে কাজ হয়ে যায়।
সূত্রের খবর, ওই বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ বোলপুরের সুরুল মৌজায় দু’টি জমি কিনেছেন। একটি চিকিৎসকের নিজের নামে। অন্যটি তাঁর স্ত্রীর নামে। দু’টি জমির মিউটেশনের জন্য আবেদন করেছিলেন ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে। জানুয়ারিতেই চিকিৎসকের স্ত্রীর জমির মিউটেশন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, চিকিৎসকের জমির মিউটেশন হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী ধাতানি দিতেই কাজ হয়ে গেল। এটা অবশ্য একটা ভাল দিক।
ভূমি ও অর্থসচিব মনোজ পন্থকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তুমি হয়তো মনোজ ইনস্ট্রাকশন দিচ্ছ, ডিএম ইনস্ট্রাকশন দেওয়ার পরেও তোমার স্থানীয় স্তরে অনেক এলআর কাজটা শেষ করছে না। বিষয়টি আমি জানি।’ মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের পরে জেলা প্রশাসনের অন্দরে শোরগোল পড়ে যায়। বকেয়া কাজ সম্পন্ন হয় বুধবার রাতেই। যা এতদিন ধরে হচ্ছিল না।