কুলতলিতে দক্ষিণরায়কে ধরতে নাটাঝামটা খেতে হতে হয়েছে বন দফতরকে। স্থানীয় মানুষজনকে চরম আতঙ্কে রেখেছিল দক্ষিণরায়। টানা ৬ দিনের রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পর খাঁচাবন্দি করা যায় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারকে। আর এই কাজে যাঁরা সাহায্য করেছেন তাঁদেরকে পুরষ্কার দেওয়ার কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পুরষ্কার তুলে দেবেন তিনি নিজে হাতে। আজ, বুধবার গঙ্গাসাগর থেকে এই কথাই জানান তিনি।
কুলতলিতে বাঘ ধরতে কাজ করেছিলেন বন দফতরের কর্মীরা, স্থানীয় কিছু মানুষজন এবং পুলিশ কর্মীরাও। আর আজ তাঁদেরই পুরষ্কৃত করার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? এদিন তিনি বলেন, ‘কুলতলিতে যাঁরা বাঘ ধরেছেন তাঁরা খুব ভাল কাজ করেছেন। আমি মুখ্যসচিবকে বলব তাঁদের অ্যাওয়ার্ড দিতে। কারণ জীবন বাজি রেখে তাঁরা বাঘ ধরেছেন। যে টিম বাঘ ধরার কাজ করেছে, তাদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। কুলপি থানা সঙ্গে বনদফতর। আপনারা অনেক ইনিসিয়েটিভ নিয়ে কাজটা করেছেন। যে সব কর্মীরা কাজ করেছেন, তাঁরা ৬-৭ দিন ধরে খাওয়া ঘুম ভুলে লেগে ছিলেন। এটা একটা খুবই মারাত্মক কাজ! আপনারা এটা করে দেখিয়েছেন। আপনাদের পুরষ্কৃত করা হবে।’ মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় আপ্লুত সবাই। কারণ আগেও এমন কাজ তাঁরা করেছেন। তবু কেউ পুরষ্কার দেওয়ার কথা বলেননি।
ঠিক কী ঘটেছিল কুলতলিতে? এখানে বাঘের উপস্থিতি বোঝা যাচ্ছিল। তার গর্জনে কেঁপে উঠছিল গোটা এলাকা। লোকালয়ে পর্যন্ত তার গর্জন শোনা যাচ্ছিল। আতঙ্কে কাটছিল দিন মানুষজনের। টানা ৬ দিন চেষ্টা করে তবে ধরা পড়েছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। এরপর তাকে জঙ্গলে ছেড়ে দিয়ে আসা হয়। মেরে ফেলা হয়নি। এই কাজে খুশি মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, কুলতলিতে লঙ্কাবোমা ফাটিয়ে এবং ঘুমপাড়ানি গুলি ছুঁড়ে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারকে ঘায়েল করা হয়। তারপর তাকে বাগে আনা হয়। এভাবে বাঘকে ধরে তাকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়ার প্রক্রিয়াকে সাধুবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই তিনি পুরষ্কৃত করতে চান। এই অভিযানকেই মান্যতা দেন মুখ্যমন্ত্রী। আর বন দফতরের কর্মী এবং পুলিশকর্মীদের পুরষ্কৃত করার কথা জানান।