এবার একাধিক হেলিপ্যাড এবং পুরুলিয়ায় বিমানবন্দর গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিনের শেষে এটাই বড় ঘোষণা। আজ, বৃহস্পতিবার টাটা মেটালিক্সের সম্প্রসারিত কারখানার উদ্বোধনে খড়গপুর স্টেডিয়ামে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখান থেকেই হেলিপ্যাড এবং বিমানবন্দর সম্পর্কে বিরাট বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কোচবিহার, বালুরঘাট, মালদাতে জমি তৈরি আছে। কিন্তু কেন্দ্র অনুমতি দিচ্ছে না। হেলিপ্যাড তৈরি করা যাচ্ছে না। বাংলায় ২৬টা হেলিপ্যাড তৈরি করেছি। এবার পুরুলিয়ায় বিমানবন্দর হবে।’
আর কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? আজ বৃহস্পতিবার খড়্গপুর স্টেডিয়াম থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সারা ভারতে স্কিল ট্রেনিং পরীক্ষায় ২১ জন টপার, তার মধ্যে বাংলা থেকেই রয়েছেন ৯ জন৷ আজ গ্রামে গ্রামে অনেক কিছু হতে পারে৷ কাশফুলগুলিকে এককাট্টা করে, তুলো মিশিয়ে লেপ, বালিশ তৈরি হতে পারে। কচুরিপানা শুকিয়ে ব্যাগ থালা তৈরি করা যায়। স্কিল ট্রেনিংয়ে দেশে আমরা এক নম্বরে। কচুরিপানা শুকিয়ে খাবার থালা তৈরি হচ্ছে, ভাবতে পারেন? খেটে খেতে হবে শরীরের নাম মহাশয়।’
বিকল্প কর্মসংস্থানের দিশাও এদিন দেখিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কেমন সেই বিকল্প পথ? মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি এক হাজার টাকা নিন। একটা কেটলি কিনুন আর কয়েকটা মাটির ভাঁড় নিন। সঙ্গে কিছু বিস্কুট নিন। প্রথম সপ্তাহে বিস্কুট নিলেন, তারপরের সপ্তাহে মাকে বললেন, মা একটু ঘুগনি তৈরি করে দাও। তারপরের সপ্তাহে একটু তেলেভাজা করলেন। পুজো আসছে। দেখবেন লোককে দিয়ে কুলোতে পারবেন না। কোনও কাজ জীবনে ছোট নয়।’
শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে কী বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী? শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে নানা দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। সেখানে তিনি শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ হাজার শিক্ষক নেওয়া হয়েছে। ৮৯ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হবে রাজ্যে। দেশের মধ্যে কারিগরি প্রশিক্ষণে শীর্ষে বাংলা। দেউচা পাঁচামিতে এক লক্ষ ছেলেমেয়ে চাকরি পাবে। জঙ্গলমহলে ৭২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। টাটায় আরও ১ হাজার লোকের চাকরি হবে। পুজোর আগে সব জেলা মিলিয়ে ৩০ হাজার চাকরি। বাংলায় ৪০ শতাংশ চাকরির সংখ্যা বাড়িয়েছে রাজ্য সরকার। বাংলায় ৩টি জায়গায় বিমানবন্দর তৈরি হচ্ছে—কোচবিহার, বালুরঘাট, মালদায়। জমি তৈরি আছে কেন্দ্র অনুমতিই দিচ্ছে না।’