একশো দিনের কাজের টাকা না মেলায় ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার ঝাড়গ্রাম থেকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির নিরপেক্ষতা নিয়ে সুর সপ্তমে চড়ালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। আবার বিজেপির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহারের অভিযোগ তুলে তোপ দাগলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার ঝাড়গ্রামে এই নিয়ে মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষের নাম না করে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ সকালে দিলীপ ঘোষও মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন ইকোপার্ক থেকে।
ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? এদিন দিলীপ ঘোষের নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অর্পিতার ঘরে দলিল পাওয়া গিয়েছে বলে সে গ্রেফতার। কিন্তু বিজেপি নেতার নামে দলিল পাওয়া গেলে কোনও ব্যাপার নয়। ছোট ছোট ভুল হলেও সিবিআই–ইডি দিয়ে তদন্ত করছে। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে কারও দলিল মিললে তাঁকে গ্রেফতার করা হল। কিন্তু দুর্নীতিতে অভিযুক্তর বাড়ি থেকে বিজেপি নেতার বাড়ির দলিল মিলেছে। তাঁর বিরুদ্ধে কেন তদন্ত হবে না?’
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয়েছেন প্রসন্নকুমার রায়। আর তাঁর ফ্ল্যাট থেকে মিলেছে দিলীপ ঘোষের ফ্ল্যাটের দলিল। সেটা আবার দিলীপ ঘোষ স্বীকারও করেছেন। এমনকী কারও বাপের টাকায় ফ্ল্যাট কেনেননি বলে সংবাদমাধ্যমে হুঙ্কার ছেড়েছেন। ইতিমধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করার পক্ষে সওয়াল করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ এবং সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেটাকেই সিলমোহর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আর কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী? ঝাড়গ্রাম থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির দুর্নীতি নিয়ে বলেন, ‘অর্পিতা বলে যে মেয়েটি আছে, যদিও আমি তাঁকে চিনি না। তাঁর ঘর থেকে যখন দলিল পাওয়া গেল তখন তাঁকে গ্রেফতার করা হল। দোষ করেছে গ্রেফতার হয়েছে। একদম ঠিক আছে। কিন্ত বিজেপি নেতার ঘরে যদি এমন চিটিং হয়। আপনারা স্ক্যাম বলছেন। যদি তর্কের খাতিরে স্ক্যামও ধরি। তাহলে আপনাদের বিজেপি নেতার দলিল ওঁর বাড়িতে কেন? এক্ষেত্রে কেন গ্রেফতার হবে না? নিজেরা কোটি কোটি টাকা আয় করেন। এক একটা নির্বাচনে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করেন। তাঁর সোর্স কী? কখনও জানিয়েছে।’