একশো দিনের কাজের টাকা নিয়ে আগেই কেন্দ্রীয় সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর আজ, বুধবার ঝাড়গ্রাম থেকে কলকাতায় ফেরার আগে সেখান থেকেই আবার কেন্দ্রকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মানুষের জন্য ঘর তৈরির প্রাপ্য টাকা মিলছে না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। তবে আজ থেকে সুরাহা হবে জল সমস্যার বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। গতকাল, মঙ্গলবার গ্রামবাসীদের অভিযোগ শুনেছিলেন তিনি। তাই জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ, বুধবার গ্রাম পরিদর্শন করেন অফিসাররা।
ঠিক কী ঘটেছিল ঝাড়গ্রামে? মঙ্গলবার সভা শেষে ঝাড়গ্রাম সফরে বেরিয়ে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভা সেরে বেলপাহাড়ি, শিলদা এলাকায় গাড়ি থেকে নেমে পড়েন তিনি। চপের দোকানে গিয়ে তেলেভাজা ভাজতে দেখা যায় তাঁকে। আবার ঢুকে যান আদিবাসী পরিবারেও। সেখানে তাঁদের শিশুকে কোলে তুলে আদর করেন। মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে অনেকেই অভাব–অভিযোগ জানান গ্রামবাসীরা। জানতে চান, ‘জল–ঘর কবে মিলবে?’
ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? আজ, বুধবার এই ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকরা আদিবাসীদের অভাব–অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। সেখানেই কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্র ঘরের টাকা আটকে দিয়েছে। আমরা কী করব? প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না। জিএসটি তুলে নিয়ে যাচ্ছে। অথচ রাজ্যকে প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না। তাই মানুষকে ভুগতে হচ্ছে। তবে জলের যা সমস্যা রয়েছে সেটা সমাধানের কাজ আজ থেকেই শুরু হবে।’
তাহলে কী আন্দোলনে নামা হবে? এই প্রশ্ন শুনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘হঠাৎ করে কোনও আন্দোলন হয় না। তার জন্য আগে ভাল করে পরিস্থিতি বুঝতে হয়। তারপর পদক্ষেপ করতে হয়।’ তিনি জঙ্গলমহলের মানুষজনকে একশো দিনের টাকা না পেলে সংঘবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে নামতে বলেছিলেন। তবে এখনই তা হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও আমজনতার সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা হবে বলে আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর।