বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত ভোট। এই পরিস্থিতিতে বুধবার আলিপুরদুয়ারে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রকে লাগাতার আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে রাজ্য সরকার আলিপুরদুয়ারের উন্নতির জন্য কী কী পদক্ষেপ করেছে এবং আগামীদিনে কী কী পরিকল্পনা করবে তা প্রকাশ্যে তুলে ধরেন। এদিন আদিবাসীদের গণবিবাহে ধামসা–মাদলের তালে মুখ্যমন্ত্রীকে পা মেলাতে দেখা যায়। যা এক অনন্য ছবি।
ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? বুধবার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন অন্য মেজাজে। গণবিবাহের মঞ্চে উঠে তিনি নাচ করেন আদিবাসী রমণীদের সঙ্গে। সবাইকে শুভেচ্ছা জানান। পরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আদিবাসী ভাই–বোনেরা খুব ভাল নাচে, গান গায়। আমার বিশ্বাস আদিবাসী ঘরের মেয়েরা অলিম্পিক্সে সোনা জিতে আসবে। ঝাড়গ্রামে আর্চেরি অ্যাকাডেমি করেছি। কলকাতায় আদিবাসী ভবন তৈরি করা হয়েছে থাকার জন্য। কালিম্পয়ে আদিবাসী ভবন তৈরি হয়েছে। বিরসা মুণ্ডার জন্মদিন ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। মাঝি থান, জহর থান তৈরির পথে।’
এখন চা–বাগান শ্রমিকদের একটা অসন্তোষ মুখ্যমন্ত্রীর কানে পৌঁছেছিল। তাই এদিন তিনি মনে করিয়ে দেন, ‘চা–বাগান শ্রমিকদের আগে মজুরি ছিল ৬৭ টাকা। কিন্তু আমরা সেটা ২০২ টাকা করে দিয়েছি। আরও বাড়বে। যতদিন না বাড়ছে ততদিন ১৫ শতাংশ ইন্টেরিম রিলিফ মিলবে। চা–সুন্দরী প্রকল্পের মাধ্যমে বাড়ি তৈরি করছি। এখানে হোম ট্যুরিজম তৈরি হবে। বাইরে থেকে ট্যুরিস্ট এলে রোজগার বাড়বে। সরকার ১ লক্ষ টাকা দেবে। আপনাদের রোজগার হবে।’
কেন্দ্রের উদ্দেশে কী তোপ মুখ্যমন্ত্রীর? আজ আদিবাসীদের অনুষ্ঠানে কেন্দ্রকে নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার গম বন্ধ করে দিয়েছে। ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। গ্যাসের দাম লাগামছাড়া বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভোটের আগে উজ্জ্বলা দিয়েছিল, এখন কোথায়? ভোট আসবে তখন বলবে আলাদা রাজ্য দেব, চা–বাগান খুলে দেব। আর ভোটের পর দেখুন জিনিসপত্রের দাম কোথায় পৌঁছেছে।’