বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Mamata Banerjee: ‘‌পুরুলিয়ার কোটা নিজের পকেটে ভরেছিল’‌, কাকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী?‌

Mamata Banerjee: ‘‌পুরুলিয়ার কোটা নিজের পকেটে ভরেছিল’‌, কাকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী?‌

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। (শ্যামল মিত্র)

মালদায় প্রশাসনিক সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই কেন্দ্রীয় সরকার প্রকল্পের টাকা না দেওয়া থেকে শুরু করে পুরুলিয়ায় চাকরির কোটা পকেটে ভরে ফেলা নিয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। তবে তিনি কারও নাম উচ্চারণ করেননি। এই নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতিতে শুভেন্দুর মুখোশ খুলে দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী।

মালদার প্রশাসনিক সভা থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে এবং নাম না করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে তুলোধনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন চাকরির দুর্নীতির। এমনকী শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে সাফ জানিয়ে দিলেন, কেউ অন্যায় করলে তাঁর দায়িত্ব নেবে না দল। পুরুলিয়ায় চাকরির কোটা নিয়ে কেলেঙ্কারির অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরুলিয়ার যুবকদের চাকরির কোটা কেউ পকেটে ঢুকিয়েছেন বলে অভিযোগ তাঁর।

ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী?‌ এদিন মালদায় প্রশাসনিক সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই কেন্দ্রীয় সরকার প্রকল্পের টাকা না দেওয়া থেকে শুরু করে পুরুলিয়ায় চাকরির কোটা পকেটে ভরে ফেলা নিয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। তবে তিনি কারও নাম উচ্চারণ করেননি। তিনি বলেন, ‘‌কয়েকটা ডাকাত–গদ্দার আমার দল থেকে বিদায় নিয়েছে। আমি খুব খুশি হয়েছি। ওরাই এই কাজ করেছিল। পুরুলিয়ার ছেলেমেয়ের চাকরির কোটাটাই তো কেটে দিয়েছিল।’‌

কেন এমন মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী?‌ সূত্রের খবর, দিন–রাত বিরোধী দলনেতা রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রীকে দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে গালিগালাজ করেন। তাই এই নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতিতে শুভেন্দুর মুখোশ খুলে দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী। তাই এমন মন্তব্য করলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী কলকাতা হাইকোর্টের কাছেও মৌখিক আর্জি জানিয়ে বলেন, ‘মাননীয় আদালতকে দু’পায়ে প্রণাম করে বলব, খোঁজ নিয়ে দেখুন। কেউ অন্যায় করলে তার দায়িত্ব নেব না।’‌

আর কী জানান মুখ্যমন্ত্রী?‌ এদিন বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‌আপনারা খুঁজে দেখুন পুরুলিয়ায় কী হয়েছিল। পুরুলিয়ার কোটা নিজের পকেটে ভরেছিল। কীসের বিনিময়ে সেটা আর বলছি না। আমি তখন প্রশ্ন করেছিলাম, কেন ওদের বঞ্চিত করা হবে। আমি নতুন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলাম। একজন খালি বলছেন রাস্তার টাকা দেব না। ১০০ দিনের কাজের টাকা দেব না। উনি দেওয়ার কে? এই সব টাকা তো জনগনের টাকা। শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে আমি কিছু বলিনি। কারণ আদালতে মামলা চলছে। আশা করি ভাল বিচার হবে। সাময়িক কেউ কেউ ভুল বুঝতে পারেন। কেউ অন্যায় করলে তার দায়িত্ব নেব না।’‌

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন