তিনদিনের সফরে সাগরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে দেখতে সেখানে ভিড় উপচে পড়েছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর নজরটি ছিল একটু অন্য দিকে। তাই তিনি সাগরের ধার বরাবর পরিদর্শন করেছিলেন। তখনও তিনি কাউকে কিছু জানাননি। ফেরার ঠিক মুহূর্তে নিলেন দারুণ সিদ্ধান্ত। আর তাতেই চমকে গেলেন অনেকে। কারণ কপিলমুনি মন্দিরের কাছে সমুদ্রের পাড়ে বাস করা অনেকগুলি পরিবারকে পুনর্বাসনের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তাতেই যেন সাগরের জল উত্তাল হয়ে সমর্থন জানালো। আর এখানের পরিবারগুলি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে মুখ্যমন্ত্রীকে আশীর্বাদ করলেন।
ঠিক কী ঘটেছে সাগরে? জানা গিয়েছে, কপিলমুনি মন্দিরের কাছে যুব আবাসের সামনে বসবাস করছিলেন কয়েকটি পরিবার। এই বসবাস আইন অনুযায়ী ঠিক নয়। এমনকী তাদের তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল স্থানীয় প্রশাসন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী ওই পরিবারগুলির উপর এমন বিপদ নামিয়ে আনেননি। বরং পরিবারগুলির খোঁজখবর নেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর সরকারি জায়গাতেই তাঁদের পুনর্বাসনের নির্দেশ দিয়েছেন। এখানে পাকা বাড়ি করে দেওয়া হবে পরিবারগুলিকে। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে মাথার ছাদ পেলেন পরিবারগুলি।
এমনটা যে ঘটতে পারে তা স্বপ্নেও ভাবেননি এই পরিবারগুলির সদস্যরা। মুহূর্তে জীবনের অন্ধকার মুছে যাওয়ায় সবার চোখেই জল। প্রত্যেকেই বলছেন, ‘দিদি তুমি মমতাময়ী’। আর মুখ্যমন্ত্রী ফেরার পথে রাস্তার পাশে থাকা কয়েকজন মহিলা–পুরুষকে ডেকে বলেন, ‘আপনাদের জন্য আমি সব ব্যবস্থা করে দিয়েছি। আর কোনও চিন্তা নেই। ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন।’ এখনও কথাগুলি বেজে চলেছে তাঁদের কানে।
এই বিষয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাশাসক পি উলগানাথন বলেন, ‘আটটি পরিবার এখন যেখানে বসবাস করেন, উপকূল আইন অনুযায়ী সেখানে বসবাস করা যায় না। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী আমরা আটটি পরিবারের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করছি। তাঁদের পাট্টা দেওয়া হবে এবং সরকারি প্রকল্পে নতুন পাকা বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে।’