মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক করেন। সেখানে পুলিশকে অস্ত্র আসছে কিনা দেখতে ট্রেনে নাকা চেকিংয়ের নির্দেশ দেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। চুরি, ছিনতাই নিয়ে রেল শহরের পুলিশ প্রশাসনকে কড়া বার্তা দিয়ে জিআরপি–কে আরও সক্রিয় করার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
খড়গপুরের আইসি–কে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, ‘আপনি এলাকায় ভ্যান নিয়ে ঘোরেন? নাকা চেকিং করেন? আপনার সিসিটিভি কটা জায়গায় আছে?’ জবাবে আইসি জানান, ১০টি জায়গায় নাকা চেকিং করা হচ্ছে অপরাধীদের ধরতে। এলাকায় মোট ১০৪টি সিসিটিভি আছে। আরও কিছু সিসিটিভি লাগানোর পরিকল্পনা আছে। পুলিশের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হয়, কোনও এলাকার কেউ কোথাও বেড়াতে গেলে, বা বিয়ে বাড়ি গেলে থানাকে জানাচ্ছেন। তখন পুলিশ ওখানে নিরাপত্তা মোতায়েন করছে।
ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? আইনশৃঙ্খলা এবং অস্ত্র আসার বিষয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখন সব ২০০০ টাকায় বন্দুক কিনে নিচ্ছে আর গুলি করে দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। আর খবর হয়ে যাচ্ছে। ইদানিং এটা একটু বেড়েছে দেখছি। বর্ডার এলাকায় এগুলি বেশি হচ্ছে। বিহার–ঝাড়খণ্ডের বর্ডার। ওখানে এসব বন্দুক পাওয়া যায়। আমি যখন রেলমন্ত্রী ছিলাম তখন বিহারে একটা কারখানা ধরেছিলাম।’
ঠিক কী নিদান দিলেন মুখ্যমন্ত্রী? এই বিষয়ে তাঁর নিদান, ‘তোমাদের নজর রাখতে হবে রেলে অস্ত্র আসছে কি না। খড়গপুর বড় রেল স্টেশন। নাকা চেকিং ট্রেনেও তোমরা করবে। তুমি তো বুঝতে পারবে না, উপরে পালং শাক নীচে বন্দুক। গোটা খড়্গপুর শহরকে সিসিটিভিতে মুড়ে ফেলতে হবে। বিহারে বন্দুক তৈরির কারখানা আছে।’