তিনদিনের সফরে গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি দেখতে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বুধবার ভূমি দফতরের কাজ নিয়ে চটে গিয়েছিলেন তিনি। এই দফতরের ঘুঘুর বাসা ভাঙতে হবে বলে নির্দেশ দেন তিনি। আর বৃহস্পতিবার সাংবাদিকের প্রশ্নে মেজাজ হারালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় করোনাভাইরাস ক্রমেই উর্ধ্বমুখী হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে গঙ্গাসাগরের মেলা করতে অসুবিধা হবে না তো? গঙ্গাসাগরে মুখ্যমন্ত্রীকে এই প্রশ্নই করেছিলেন সাংবাদিক। তখন মেজাজ হারিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বলেন, ‘হোয়াই আর ইউ ওনলি ইন্টারেস্টেড ফর গঙ্গাসাগর, অ্যাক্সড কুম্ভমেলা। গঙ্গাসাগর পাবলিক কা হ্যায়!’
আজ সকালেই এই নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর প্রায় একই প্রশ্ন করেছিলেন ওই সাংবাদিকও। বৃহস্পতিবার গঙ্গাসাগর থেকে ফিরছেন তিনি। ফেরার সময় সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে মেলা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ কিছুটা বেড়েছে। আমরা অনুরোধ করব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে। মাস্ক পরতে ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। গোটা পরিস্থিতি টাইম টু টাইম আমরা জানাব।’
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিদেশি বিমানেই বয়ে আসছে সংক্রমণ বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘আমি ইউকে–কে ভালোবাসি। তবে দেখছি ইউকে ফ্লাইটেই ওমিক্রন সংক্রমণ বেশি আসছে। ওমিক্রন ভীষণ স্প্রেড করছে। যতটুকু বাড়ছে, এই কারণেই বাড়ছে। আরটি–পিসিআর পরীক্ষায় জোর দিতে হবে।’ সামনেই বর্ষবরণ তাই সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে বাড়তি।
ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? তারপর গঙ্গাসাগর থেকে রওনা দেওয়ার প্রস্তুতি নেন মুখ্যমন্ত্রী? তখনই এই পরিস্থিতিতে গঙ্গাসাগর মেলা করতে অসুবিধা হবে কিনা? জানতে চান এক সাংবাদিক। তাতেই মেজাজ হারিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা কেন গঙ্গাসাগর নিয়েই এত উৎসাহী? গঙ্গাসাগর নিয়ে তোমাদের ওত চিন্তা করতে হবে না। এটা আমাদের গঙ্গাসাগর নয়। পাবলিকের! পাবলিক যদি উত্তরপ্রদেশ, বিহার থেকে আসতে চাইছেন, সেটা কি আমরা আটকাব? আমি কি ওদের আটকাতে পারি? এটা কি আমাদের হাতে আছে? তবে যাঁরা উত্তরপ্রদেশ, বিহার থেকে আসবেন ভাবছেন, তাঁরা নিশ্চয়ই ভালো বুঝেই আসবেন। কোভিড প্রটোকল মেনে আসবেন। নতুন বছরের উৎসব আমি কী করে আটকাব? নেগেটিভিটি ছড়াবেন না।’