‘‌ঘুষ না দিলে গরীব মানুষদের কাজ হচ্ছে না’‌, ভূমি দফতরকে দুষলেন মুখ্যমন্ত্রী

বেশিরভাগ সময়ই আদিবাসীদের গুরুত্ব দেওয়া হয় না। জঙ্গলমহলে একদিন লোকে রাস্তায় বের হতে পারত না। কিন্তু, এখন সেটা অনেক সুন্দর করে দেওয়া হয়েছে। আদিবাসীদের অনেকেরই অভিযোগ, তাঁরা ঠিক করে পড়াশোনা করতে পারে না। এমনকী, জমি মিউটেশন করতে গেলে তাঁদের হেনস্থা করা হচ্ছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (HT_PRINT)

পুরুলিয়ার প্রশাসনিক সভা থেকে একদিকে কেন্দ্রীয় সরকার অন্যদিকে রাজ্য ভূমি দফতরকে তুলোধনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম পুরুলিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা সফরে আসেন। সেখানে প্রশাসনিক সভা থেকে প্রথমেই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। তারপর ভূমি দফতরকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দেন তিনি।

ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী?‌ কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‌১০০ দিনের কাজের টাকা কেন্দ্রীয় সরকার দিচ্ছে না। ডিসেম্বর থেকে টাকা দিচ্ছে না। তাতে সাধারণ গরীব মানুষ সমস্যায় পড়ছেন। রুটি–রুজিতে টান পড়েছে। এই নিয়ে আন্দোলন হবে। মানুষের অধিকার পাইয়ে দিতেই হবে। এভাবে চলতে পারে না।’‌

আর ব্লক ভূমি রাজস্ব অফিস নিয়ে কী বলেছেন?‌ সাধারণ মানুষের বেশকিছু অভিযোগ জমা পড়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। তা নিয়ে আজ, সোমবার মুখ্যমন্ত্রী কড়া ভাষায় বলেন, ‘‌ব্লক ভূমি রাজস্ব অফিস ঘুঘুর বাসা। অফিসের কাজ দোকানে হচ্ছে। কর্মচারীরাই করাচ্ছেন। ঘুষ না দিলে সাধারণ গরীব মানুষদের কাজ হচ্ছে না।’‌ পুরুলিয়ার বলরামপুর ব্লক নিয়ে অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

আদিবাসীদের নিয়ে কী বলেছেন?‌ এদিনের সভা থেকেই আদিবাসীদের গুরুত্ব না দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ‘‌বেশিরভাগ সময়ই আদিবাসীদের গুরুত্ব দেওয়া হয় না। জঙ্গলমহলে একদিন লোকে রাস্তায় বের হতে পারত না। কিন্তু, এখন সেটা অনেক সুন্দর করে দেওয়া হয়েছে। আদিবাসীদের অনেকেরই অভিযোগ, তাঁরা ঠিক করে পড়াশোনা করতে পারে না। এমনকী, জমি মিউটেশন করতে গেলে তাঁদের হেনস্থা করা হচ্ছে। আমি অনেক অভিযোগ পেয়েছি। এই বিষয়গুলি দেখে নিতে হবে। আদিবাসীদের গুরুত্ব দিতে হবে। আদিবাসীদের জায়গা কেউ নিতে পারবে না। এটা যদি কেউ নেয় তাহলে বিএলআরও’‌র নামে এফআইআর হবে।’‌