করোনাভাইরাস মোকাবিলায় তাঁকে রাস্তায় নেমে কাজ করতে দেখা যায়। ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ে সারারাত কন্ট্রোল রুমে জেগে থাকতে দেখা যায়। রাজ্যের দাবিদাওয়া নিয়ে ছুটে যান তিনি। আবার মানুষের খোঁজও নেন তিনি। হ্যাঁ, তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ ভরা কোটাল ও ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত একাধিক এলাকা পরিদর্শন করেন। কিন্তু এতো ব্যস্ততার মধ্যেও মুখ্যমন্ত্রীর অভিভাবকের মতোই জেলাশাসকের খবর নিলেন। যা দেখে চমকে উঠলেন স্বয়ং জেলাশাসকও।
শুক্রবার দিঘায় ঘূর্ণিঝড় নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। ভার্চুয়াল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন একাধিক বিডিও। উপস্থিত ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝিও। সেখানে বৈঠক চলাকালীনই পূর্ণেন্দু মাঝির শারীরিক অবস্থা কেমন আছে খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এই খবরটি রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। তাই আজ জিজ্ঞেস করলেন, ‘পূর্ণেন্দু, তুমি শরীরের যত্ন নিচ্ছ তো? তুমি অসুস্থ অবস্থাতেও ঘর থেকে কাজ করছো। শরীরের খেয়াল রেখো। অবহেলা করো না। কারণ এই রোগটা অবহেলা করলেই বাড়ে। তাই সুস্থ থেকো। কেউ কিছু মনে করবে না।’
এটা অবশ্য নতুন নয়, বরাবরই মুখ্যমন্ত্রী এমনই। তাই রাজ্যের মানুষের কাছে তিনি দিদি। বাংলার কাছে তিনি ঘরের মেয়ে। নিজের প্রশাসনিক আধিকারিকদের মাঝেমধ্যেই শরীরের খোঁজখবর নিয়ে থাকেন তিনি। এক্ষেত্রে তিনি কোন ভেদাভেদ করেন না। তাঁর এই অভিভাবকসুলভ আচরণের জন্য প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিদের কাছেও তিনি অত্যন্ত আপনজন।
আজকের বৈঠকে দিঘাকে দ্রুত পর্যটকদের জন্য সাজিয়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আপাতত দিঘা উন্নয়ন পর্ষদের দায়িত্ব দিলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর ক্ষয়ক্ষতির খতিয়ান নেওয়ার পরই দুর্গতদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেদিকে নজর দেওয়ার নির্দেশও দেন তিনি। তবে এখানকার বাঁধ কেন ভেঙে পড়ল তার তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।