শুরুটা করেছিলেন আগের দিনই। একদিকে ফুচকা বানিয়ে মানুষের হাতে তুলে দেন। অন্যদিকে নয়া কফি হাউজে বসে রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইলেন। তবে এই পাহাড়ের কোলে জনসংযোগ তিনি থামাননি। বরং তা অব্যাহত রাখলেন বুধবারও। পাহাড় সফরে আজও প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে জনসংযোগ সারলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকাল ১০টা নাগাদ তিনি প্রাতঃভ্রমণে বের হন।
কেমন করে শুরু করলেন? এদিন তিনি জনসংযোগ শুরু করেন জাকির হুসেন রোড, নেহরু রোড ধরে। সেখানে পর্যটক থেকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এভাবেই সারলেন জনসংযোগ। কোথাও শিশুদের আদর করলেন। তাদের হাতে চকোলেট তুলে দিলেন। কোথাও সবজির দোকানে গিয়ে খোঁজ নিলেন বাজারদরের। এমনকী পর্যটকদের সেলফি তোলার আবদারও মেটালেন মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, গতকাল পাহাড়ে জিটিএ’র শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকেই বার্তা দিয়েছেন, পাহাড় হাসছে সেটা তিনি দেখতে চান। পাহাড়ের মানুষ শান্তিতে আছে সেটা দেখতে চান। আগে এখানে তিনি রাস্তায় দাঁড়িয়ে মোমো বানিয়েছিলেন। এবার বানান ফুচকা। আজ, বুধবার স্থানীয় পাহাড়ের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। সমস্যার কথা শোনেন তাঁদের কাছ থেকে।
তারপর ঠিক কী ঘটল? এরপর হাঁটতে হাঁটতেই মুখ্যমন্ত্রী এগিয়ে যান রাজভবনের দিকে। সেখানে তাঁর চোখে পড়ে রাজভবনের পাশে গান্ধী মূর্তি বিবর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এভাবে অবহেলায় পড়ে ছাকতে দেখে তিনি ওই মূর্তি রং করে নিয়মিত যত্ন নেওয়ার নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে গান্ধী মূর্তির পাশে নেতাজির একটি মূর্তি স্থাপনের নির্দেশও দেন মুখ্যমন্ত্রী।