আজ, সোমবার জঙ্গলমহলের জেলা পুরুলিয়া সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে প্রশাসনিক সভা করবেন। এর আগে তিনি ঝাড়গ্রামে গিয়েছিলেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর সেরে উত্তরবঙ্গে যাওয়ার কথা। সেখানে সূচিতে হঠাৎ যুক্ত হয়ে গেল জমি আন্দোলনের জায়গা সিঙ্গুর। তারপর তিনি উত্তরবঙ্গে যাবেন। এই ঝটিকা সফর নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
কবে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী সিঙ্গুরে? সিঙ্গুর আন্দোলনের সময় বাজেমেলিয়ার দেবী সন্তোষীর মন্দিরে যেতেন তদানীন্তন বাংলার বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে তাঁরই উদ্যোগে এই মন্দিরের পরিকাঠামো উন্নয়ন হয়। এবার সেই মন্দিরেই পুজো দিতে আসছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, আগামী ৩ জুন সিঙ্গুরের বাজেমেলিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর পুজো দিতে আসবেন। সেদিন বাজেমেলিয়া থেকেই রিমোট কন্ট্রোলে কামারকুণ্ডু আরওবি’র উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী।
ঠিক কী জানা যাচ্ছে? জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, এখান থেকে রাজনৈতিক–প্রশাসনিক বার্তা মুখ্যমন্ত্রী দিতে পারেন। পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়েও বার্তা দিতে পারেন। গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, হুগলি জেলাকে প্রশাসনিক ও উন্নয়নের সুবিধার জন্য দু’টি ভাগে ভেঙে দেওয়া হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী সিঙ্গুরে আসছেন, তাই নানান জল্পনার পালে বাতাস লেগেছে।
ঠিক কী বলছেন সিঙ্গুরের বিধায়ক? এই বিষয়ে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী তথা সিঙ্গুরের বিধায়ক বেচারাম মান্না বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী কামারকুণ্ডু আরওবি’কে আমজনতাকে সমর্পণ করতে আসছেন। তিনি সন্তোষী মায়ের পুজোতে অংশ নেবেন। আমরা তাঁর আগমনের অপেক্ষা করছি।’ হুগলির কামারকুণ্ডু আরওবি ৩ জুন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে তা আমজনতার জন্য খুলে যাচ্ছে। রাজ্য সরকার ও রেলদফতরের আর্থিক উদ্যোগে ওই রেলওয়ে ওভারব্রিজ তৈরি হয়েছে।