এবার একশো দিনের কাজে মাদুর শিল্পকে অন্তর্ভুক্ত করা হল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সিদ্ধান্তে মেদিনীপুরের ৫ লক্ষের কিছু বেশি মানুষ উপকৃত হবেন। এমনকী রাজ্যের বাকি মাদুর শিল্পীদেরও এই আওতায় নিয়ে আসা হবে। আগামী ১৭ মে মুখ্যমন্ত্রীর মেদিনীপুরে জেলা সফর। সেখানেই এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করতে পারেন তিনি। এবারের প্রশাসনিক বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রী এলাকার সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য প্রায় এক হাজার কোটি টাকা মূল্যের বিভিন্ন পরিকাঠামো উপহার দেবেন বলেও খবর।
হঠাৎ মাদুরশিল্প ভাবনায় কেন? গ্রামীণ কর্মনিশ্চয়তা প্রকল্পে মাদুরশিল্পকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়ার স্ত্রী গীতা ভুঁইয়া। আর এই ইস্যুতে বিধানসভা থেকে রাজ্যসভায় সরব হন মানস ভুঁইয়া। এবার তা বাস্তবায়িত হতে চলেছে। আর নবান্ন সূত্রে খবর, নতুন প্রকল্পের শিলান্যাস ও পরিকাঠামো উদ্বোধন মিলিয়ে প্রায় ১৩২টি নতুন প্রকল্প পশ্চিম মেদিনীপুরকে উপহার দিতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার ফলে আরও উন্নত হবে জঙ্গলমহল–সহ সমগ্র জেলা।
মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া কী বলছেন? এই বিষয়ে সবংয়ের বিধায়ক বলেন, ‘সবংয়ের মাদুরশিল্প জগৎ বিখ্যাত। ৮০ শতাংশ মানুষ মাদুরশিল্পের সঙ্গে জড়িত। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঐতিহাসিক মানবিক সিদ্ধান্তে লক্ষ লক্ষ মানুষের মুখে হাসি ফুটবে। এবার ১০০ দিনের প্রকল্পে অন্যান্য কাজের মতো মাদুর শিল্পের সঙ্গে জড়িত সকলকে জব কার্ড দেওয়া হবে। খুশি হয়েছেন মাদুর শিল্পীরা।’
আর কী হতে পারে? পশ্চিম মেদিনীপুরে আগামী ২৫ মে ‘জব ফেয়ার’–এর আয়োজন করেছে কারিগরি শিক্ষা দফতর। এই চাকরি মেলার ঘোষণাও মুখ্যমন্ত্রী করতে পারেন বলে সূত্রের খবর। লক্ষ্য, অন্তত চার হাজার যুবক–যুবতীর চাকরি নিশ্চিত করা। শিলান্যাস হবে কপালেশ্বরী নদীর বাঁধে লাহারিচক ও কদমতলা স্লুইস নিষ্কাশন ক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্পের। উদ্বোধন হবে খড়িকা–এড়াল কংক্রিট সেতু থেকে সুন্দরপুর কাঠপুল পর্যন্ত সাড়ে তিন কিলোমিটার এবং মোহিনীবাজার থেকে মাসুমপুর পর্যন্ত কপালেশ্বরী নদীর চার কিলোমিটার বাঁধ মজবুতির পর তৈরি হওয়া কংক্রিট রাস্তার।