আজ, শনিবার থেকে শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকারের ষষ্ঠ পর্যায় শিবির। পরিষেবা নিতে এসে সাধারণ মানুষকে যাতে সমস্যার মুখে পড়তে না হয় তার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে জেলা প্রশাসন। নাগরিক পরিষেবা নিশ্চিত করতে এবার জেলার প্রত্যেকটি ক্যাম্পে ‘কমপ্লেন বক্স’ বসানো হচ্ছে। যেখানে মানুষ সরাসরি যে কোনও ধরনের অভিযোগ জানাতে পারবেন। পাশাপাশি প্রত্যন্ত এলাকার জন্য চালু থাকবে মোবাইল ক্যাম্প। আর নয়া উপহার হিসাবে বাংলার মানুষজন পেতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠি।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটছে? রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দুয়ারে সরকার শিবিরগুলি থেকে যে সমস্ত উপভোক্তারা পরিষেবা পাবেন এবার তাঁদের কাছে পৌঁছে যাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লিখিত বার্তা। ইতিমধ্যেই দুয়ারে সরকার কর্মসূচি নিয়ে বাংলার মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর কণ্ঠস্বর মোবাইলের মাধ্যমে শুনেছেন। এবার বাড়তি উপহার হিসাবে দেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর লিখিত বার্তা। এই লিখিত বার্তায় থাকছে দুয়ারে সরকার শিবির নিয়ে বিস্তারিত তথ্য। নিজের লিখিত বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০২০ সাল থেকে রাজ্যের মানুষকে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দিতে পাঁচবার দুয়ারে সরকার শিবির হয়েছে। এই নিয়ে ষষ্ঠবার মানুষের দুয়ারে হাজির হচ্ছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শেষ দফার দুয়ারে সরকার করার নির্দেশিকা এসেছে নবান্ন থেকে। নতুন কিছু প্রকল্প যেমন, ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড, মেধাশ্রী এবং বিধবা ভাতা ইত্যাদিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর লিখিত বার্তায় বলা হয়েছে, ১ থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি পরিষেবা পাওয়ার জন্য আবেদনগুলি গ্রহণ করা হবে। আর ১১ থেকে ২০ এপ্রিলের মধ্যে শিবির থেকে পরিষেবা প্রদানের কাজ চালানো হবে। এবার ৩৩ ধরনের পরিষেবা দুয়ারে সরকারের কর্মসূচিতে দেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যে চারটি পরিষেবা এই প্রথম যুক্ত করা হয়েছে। এগুলি হল, বিধবা পেনশন, মেধাশ্রী, ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড এবং বাংলা কৃষি, সেচ, যোজনার আওতায় ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্প। ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পটি এ বারের বাজেটে ঘোষণা করা হয়েছে।
কেন এই চিঠির উদ্যোগ? নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠি সরাসরি উপভোক্তারা হাতে পেলে সরকারের সঙ্গে রাজ্যের সাধারণ মানুষের একটা বড় সংযোগ তৈরি হবে। তার জেরে যে কোনও কর্মসূচি রূপায়ণে সুফল পাবে রাজ্য সরকার এবং উপভোক্তা দু’পক্ষই। তবে বিরোধীরা মনে করছেন, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখেই মুখ্যমন্ত্রীর এমন উদ্যোগ। গ্রামীণ মানুষের সঙ্গে সরাসরি জনসংযোগ গড়ে তুলতেই এই লিখিত বার্তার উদ্যোগ। এই কাজের মধ্যে দিয়ে ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে চাওয়া হচ্ছে।