কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরে পুজো দিয়ে মঙ্গলবার দিনটি শুরু করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে পুজোয় অংশ নেন তিনি এবং অঞ্জলিও দেন। ঘণ্টা বাজিয়ে আরতি করার পর, পার্শ্ববর্তী আরেকটি মন্দিরেও পুজো দেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। মমতার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কোচবিহারের সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া, উদয়ন গুহ, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ সহ জেলার শীর্ষ নেতৃত্ব।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার সন্ধ্যায় কোচবিহারে পৌঁছান। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “উত্তরবঙ্গে একটাই আসনে জিতেছি আমরা। সারা বাংলার মা মাটি মানুষকে ধন্যবাদ জানানোর জন্য ও কৃতজ্ঞতা অর্পণ করবার জন্য, মঙ্গলবার মা মাটি মানুষের নামে পুজো দিতে এসেছি। আর একটা মিটিং আছে। এছাড়া কোনও উদ্দেশ্য নেই।"
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, সম্প্রতি প্রকাশিত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে উত্তরবঙ্গে একমাত্র কোচবিহার আসনে তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করেছে। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক, যিনি পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও নিশীথ প্রামাণিকের উপর আস্থা রেখেছে বিজেপি। অন্যদিকে, নিশীথকে প্রতিহত করতে তৃণমূল কংগ্রেস জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়াকে প্রার্থী করে এবং তিনি ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৩৭৫ ভোট পেয়ে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে জয়ী হন।
আরও পড়ুন। কল্যাণ চৌবে ভট্টাচার্য কবে হলেন? পদবীতে যুক্ত হওয়ায় প্রশ্ন তৃণমূলের
মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের পুজো পরিদর্শন শেষে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে। গতবছর বিজেপি তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠায়। কোচবিহারে নির্বাচনের ফলাফলের পর তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সাক্ষাৎ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সফর এবং অনন্ত মহারাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ আগামী রাজনৈতিক কৌশলের ইঙ্গিতবাহী হতে পারে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।
আরও পড়ুন। কাঞ্চনজঙ্ঘা দুর্ঘটনা নিয়ে রেল বোর্ডের দাবি কতটা যুক্তিসঙ্গত? ক্রমেই ঘনীভূত রহস্য