বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই সভা–সমাবেশ বাড়তে শুরু করেছে। আর তার পাল্টা সভা করছে যুযুধান প্রতিপক্ষও। এমনকী এক জনসভার উত্তর মিলছে আর একটি জনসভা থেকে। এখন জেলার সম্মুখসমরে তৃণমূল–বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে ‘রেকর্ড’ ভিড় হয়েছিল বাঁকুড়া ১ নম্বর ব্লকের সুনুকপাহাড়ির হাটতলায়। যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার মাঠ ভরে গিয়েছিল। তারপরেই করোনা বিধির প্রশ্ন তুলেছে গেরুয়া শিবির। বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার বলেন, ‘এই সভার পরে যদি জেলায় করোনা সংক্রমণ বাড়ে, তার দায় তৃণমূল নেত্রীকেই নিতে হবে।’
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবারের সভায় প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার মানুষ ছিলেন। আর তৃণমূলের দাবি, সংখ্যাটা অন্তত দেড় লক্ষ। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীকে মঞ্চ থেকে বলতে শোনা যায়, প্রচুর গাড়ি রাস্তায় আটকে আছে। আমিও আধ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে অনেক গাড়ি পাস করালাম। অনেকে হয়তো এখনও আসতে পারেননি। হয়তো স্থানের অভাব হবে। কয়েকশো বাস রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে। সুতরাং সভায় ভিড় হয়েছিল এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
এই বিষয়ে সুভাষবাবু বলেন, ‘আমার কাছে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর সভায় বেশি হলে ৫০ হাজার মানুষ ছিলেন। পুলিশ ও তৃণমূল বাড়িয়ে বলছে। সভাস্থল ভরাতে পারেনি।’ যদি তাই হয় তাহলে সুভাষবাবু করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার কথা বলছেন কেন? আর যদি সংখ্যা পুলিশ ও তৃণমূল বাড়িয়ে বলে তাহলে সেটা তাঁর মাথাব্যথ্যার কারণ হচ্ছে কেন? উঠছে প্রশ্ন।
উল্লেখ্য, গত লোকসভা ভোটে বাঁকুড়ার দু’টি কেন্দ্রেই জিতেছে বিজেপি। রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি শ্যামল সাঁতরা বলেন, ‘সভার ভিড় প্রমাণ করেছে, আগামী বিধানসভা ভোটে জেলার সব ক’টি কেন্দ্রেই ঘাসফুল ফুটতে চলেছে। যাঁরা এসেছিলেন, সবাই বাঁকুড়ারই বাসিন্দা। ভিড় দেখেই বিজেপি’র মাথা ঘুরে গিয়েছে। এখানে সবাইকে মাস্ক দেওয়া হয়েছিল। সভার মাঠে জায়গা অনেক। মানুষ দূরত্ব-বিধি মেনেই দাঁড়িয়েছিলেন।’