জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগের খাবারে মৃত কেঁচো পাওয়া গিয়েছিল। সেই ঘটনার জেরে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তেজনা ছড়িয়েছিল হাসপাতল চত্বরে। সেই ঘটনায় এবার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হল। জলপাইগুড়ি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. অসীম হালদার এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এর ফলে আরও অস্বস্তিতে পড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের বাসিন্দা দীপক রায় গত শনিবার রাতে হাসপাতালের শিশু বিভাগে নিজের সন্তানকে খাবার খাওয়াতে গিয়ে দেখেন খাবারে রয়েছে একটি মৃত কেঁচো। ঘটনায় অন্যান্য রোগীদের মধ্যে খবর ছড়িয়ে পড়তেই হাসপাতাল চত্বরে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। রোগী এবং রোগী পরিবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরব হন। হাসপাতালের বাইরে বিক্ষোভ দেখানো পাশাপাশি ওয়ার্ড মাস্টারের ঘরে গিয়ে তারা অভিযোগ জানান। এরপর বহু রোগী হাসপাতালের খাবার খাননি। এই ঘটনায় ঠিকাদার সংস্থাকে দায়ী করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যদিও ঠিকাদার সংস্থার দায়িত্বে থাকা শুভময় সাহা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার বক্তব্য, রোগীদের খাবার দেওয়ার আগে তা ভালভাবে যাচাই করা হয়। তারপরেই সমস্ত ওয়ার্ডে খাবার সরবরাহ করা হয়।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে এ বিষয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ জানানো হয়নি। তবে বিষয়টি জানার পরে নড়েচড়ে বসেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। এর পরেই তিনি তদন্তের নির্দেশ দেন।