আরও এক ধাপ এগোলো দেউচা পাচামির কাজ। দেউচা পাচামিতে যারা জমি দিয়েছেন, সেই সব পরিবারের সদস্যরা ইতিমধ্যে পুলিশের নিয়োগপত্র পেতে শুরু করেছেন। এবার প্রজেক্ট এলাকায় কয়লার বোরিংয়ের কাজও শুরু হয়ে গেল। বুধবার বোরিং করানো নিয়ে গ্রামবাসীদের একাংশ বিক্ষোভ দেখান। তবে বৃহস্পতিবার প্রশাসনের উদ্যোগে কয়লা বোরিংয়ের কাজ শুরু হয়।
এদিন হরিণশিঙা, দেওয়ানগঞ্জ প্রথম প্রজেক্ট এলাকায় কেন্দ্রগড়িয়া গ্রামে কয়লা বোরিংয়ের কাজ শুরু হয়। মাটি থেকে কত ফুট নীচে কোথায় কয়লা রয়েছে, তা দেখার জন্যই এই বোরিংয়ের কাজ করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, মোট ১৪টি জায়গায় এই বোরিং করা হবে। এদিন স্থানীয় বিডিও, বিএলআরও আধিকারিকদের উপস্থিতিতে বোরিংয়ের কাজ শুরু হয়। সেইসঙ্গে এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এই প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ৫ ফুট দীর্ঘ ও ৪ ফুট চওড়া বোর হোল করা হচ্ছে। দেওয়ানগঞ্জ হরিণশিঙায় ২০ বর্গমিটার করে বোর হোল হচ্ছে। কয়লা সেখানে আদৌ আছে কিনা, থাকলে কতটা নীচে আছে বা কী গুণমানের কয়লা আছে, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য এই বোর হোল করা হচ্ছে। এখানে কোথায় কোথায় কূপ খনন হবে, সেটি আগে থেকেই চিহ্নিত করে রাখা হয়েছিল। এলাকার মানুষকে সঙ্গে নিয়েই চিহ্নিত করা হয়েছিল। সবই খালি জমির মধ্যে পড়েছে।
একইসঙ্গে প্রশাসনের তরফে দাবি করা হচ্ছে, যেখানে কূপ খনন করা হচ্ছে, সেখানকার বাসিন্দারা উৎসাহিত হয়ে এগিয়ে এসেছেন। উৎসবের মেজাজে কাজ হচ্ছে। তারা লিখিত দিয়ে দিয়েছেন, এখানে কূপ খনন করা হোক। পুনর্বাসন প্যাকেজ নিয়ে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভা দাঁড়িয়ে পুনর্বাসন প্যাকেজের কথা ঘোষণা করেছিলেন। গত বছর ১৬ নভেম্বর নোটিফিকেশন বের করে দিয়েছিলেন। এই নিয়ে বহুদিন ধরে আলোচনা চলেছে। আদিবাসী মানুষদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আদিবাসী মানুষরা উৎসাহিত হয়েছেন। গতকাল মহাসভার তরফে বোরিংয়ে কাজে বাধা দেওয়া হয়। তবে স্থানীয় প্রশাসনের আশা, আগামীদিনে মহাসভাও বিষয়টি বুঝবেন ও এই কাজে উৎসাহিত করবেন। প্রশাসনের কাজে খুশি গ্রামবাসীরা। তাঁদের মতে, সরকার যদি প্যাকেজটা আরেকটু বাড়ায় তাহলে ভালো হয়।