ডিআইজি (জলপাইগুড়ি রেঞ্জ)–এর অফিসে কাজ করছিলেন এক কর্মী। তখন তিনি ফোঁস ফোঁস শব্দ শুনতে পান। দেখা যায়, বাথরুমের বেসিনের পাইপে আটকে রয়েছে একটি সাপ। শেষপর্যন্ত দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় পাইপ থেকে অক্ষত অবস্থায় বের করা হয় সাপটিকে।
জানা গিয়েছে, গত শনিবার ডিআইজি চেম্বারের কাছে যেতেই ফোঁস ফাস শব্দ শুনেই সন্দেহ হয় এক কর্মীর। সঙ্গে সঙ্গে এই কথা অফিসের অন্যান্য কর্মীদেরও জানান। এরপরই খোঁজাখুজি শুরু হয়ে যায়। দেখা যায়, বেসিনের পাইপ থেকে ঝুলছে একটি সাপের লেজ। সঙ্গে সঙ্গে বেসিনের মুখ থেকে জল ঢালা শুরু হয়ে যায়। ক্রমাগত জল ঢালার পর ঘণ্টাখানেক ধরে সাপটিকে বের করার চেষ্টা চালানো হয়। কিন্তু সফল হয়নি। শেষপর্যন্ত পাইপ ভেঙে অক্ষত অবস্থায় বের করা হয় সাপটিকে।
ডিআইজি অফিসের বড়বাবু কার্তিক চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘ফোঁস ফোঁস শব্দ শুনেই অফিসের কর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পাইপে স্পেকটিক্যাল কোবরা সাপ ঢুকে পড়ে। আমরা পরিবেশ কর্মী বিশ্বজিৎ দত্ত চৌধুরীকে খবর দিই। তিনি এসে সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।’ এই প্রসঙ্গে পরিবেশ কর্মী বিশ্বজিৎ দত্ত চৌধুরী জানান, ‘কোবরা সাপটি ৫ ফুটের বেশি লম্বা ছিল। জিনগত বা অন্য কোনও ত্রুটির জন্য চশমায় যে ছাপ থাকে তা সাপটির ফণাফোয় ছিল না। ৯ বছর আগে এই রকমই একটি সাপ উদ্ধার করেছিলাম। এই সাপটিকে উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’