সুনীল মণ্ডলের বাড়িতে শুভেন্দু অধিকারীর বৈঠকে হাজির ছিলেন। তখনই ইঙ্গিত মিলেছিল। জল্পনা বাস্তবে পরিণত লাগল না ২৪ ঘণ্টাও। দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান এবং মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ের গ্রিভান্স ও মনিটরিং সেলের উপদেষ্টা পদ থেকে ইস্তফা দিলেন কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরী (অবসরপ্রাপ্ত)।
বুধবার দুপুর বিধানসভায় ইস্তফাপত্র জমা দেওয়ার পর সোজা পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসায় পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুনীলের বাড়িতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। সেখানে হাজির ছিলেন দুই বর্ধমানের একাধিক বিধায়ক-সহ দীপ্তাংশু। সেখানে প্রায় ঘণ্টা দেড়েক বৈঠক চলে। সূত্রের খবর, শুভেন্দু জানিয়েছেন যে একঝাঁক বিধায়ক নিয়ে বিজেপিতে যোগ দেবেন। তবে বৈঠক থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু বা কেউ কোনও মন্তব্য করেননি।
তারপর বৃহ্স্পতিবার তৃণমূলের প্রাথমিক সদস্যপদ ছেড়ে দেন শুভেন্দু। তার কিছুক্ষণ পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইস্তফাপত্র পাঠান দীপ্তাংশু। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কেও ইস্তফাপত্র মেল করেন তিনি। তবে কী কারণে দিচ্ছেন, সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। শুধু 'রাজ্যের মানুষের স্বার্থে' কাজ করতে দেওয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। এবার তিনিও শুভেন্দুর পথে শরিক হবেন কিনা, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। সেক্ষেত্রে শুভেন্দু যদি বিজেপিতে যোগ দেন, তাহলে তিনিও বিজেপিতে যোগ দেবেন কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
তবে বিজেপির সঙ্গে মুকুল-ঘনিষ্ঠ দীপ্তাংশুর যোগ নতুন নয়। ২০১৬ সালে মার্চে জে পি নাড্ডা, রাজ্যবর্ধন রাঠৌরের উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন কার্গিল যুদ্ধের এই 'হিরো'। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছাড়পত্রের পর তাঁকে আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে দাঁড় করানো হয়েছিল। কিন্তু সেখানে ২৭ শতাংশের মতো ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছিলেন। সেই হারের দেড় বছরের মধ্যে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন দীপ্তাংশু। তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের অন্যতম স্তম্ভও ছিলেন তিনি।