বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Protest against eve teasing: ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে আক্রান্ত কলেজ পড়ুয়া, ব্রিজ থেকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা

Protest against eve teasing: ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে আক্রান্ত কলেজ পড়ুয়া, ব্রিজ থেকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা

যুবককে মারধর করার অভিযোগ। প্রতীকী ছবি।

বিশাল মণ্ডল হুগলির উত্তরপাড়ার প্যারিমোহন কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। শনিবার বিকেলে কলেজ থেকে ফিরছিলেন বিশাল মণ্ডল। তাঁর দুই সহপাঠিও তার সঙ্গেই ফিরছিলেন। সেই সময় ২৫-৩০ জন যুবক এসে বালিঘাট স্টেশনে তাঁকে ইঁট, বাঁশ, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এমনকী তাঁকে ছুরি মারার চেষ্টা করে।

প্রতিবাদ করতে গিয়ে ফের আক্রান্ত হলেন যুবক। দুই সহপাঠীকে ইভটিজিং করছিল একদল যুবক। তারই প্রতিবাদ করতে গিয়ে যুবককে বেধড়ক মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দিল অভিযুক্তরা। শুধু তাই নয়, তাঁকে ওভার ব্রিজ থেকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টাও করল অভিযুক্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির বালিঘাট স্টেশনে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আক্রান্ত ছাত্রর নাম বিশাল মণ্ডল। ওই যুবকের পাশাপাশি তাঁর সহপাঠিনী দুই ছাত্রীকেও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশাল মণ্ডল হুগলির উত্তরপাড়ার প্যারিমোহন কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। শনিবার বিকেলে কলেজ থেকে ফিরছিলেন বিশাল মণ্ডল। তাঁর দুই সহপাঠিনীও তার সঙ্গেই ফিরছিলেন। সেই সময় ২৫-৩০ জন যুবক এসে বালিঘাট স্টেশনে তাঁকে ইঁট, বাঁশ, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এমনকী তাঁকে ছুরি মারার চেষ্টা করে। সেই সময় এক মহিলা বিশালকে বাঁচান। অন্যদিকে, দুই সহপাঠিনী তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে তাদেরকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, অভিযুক্তরা বিশালকে ওভারব্রিজ থেকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত শনিবার সকালে। বিশাল ওই দুই ছাত্রীর সঙ্গে কলেজ যাচ্ছিলেন। সেই সময় বালিঘাট স্টেশনে দুই যুবক ছাত্রীদের লক্ষ্য করে কটুক্তি করে। তারই প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন বিশাল। ঘটনায় ওই দুই যুবক সেই সময় বিশালকে মারধর করে। তবে কলেজের অন্যান্য ছাত্ররা সেখানে চলে এলে দুই যুবক সেখান থেকে পালিয়ে যায়। সেই সময়কার মতো বিষয়টি মিটে যায়। পরে শনিবার বিকেলে ফের কলেজ থেকে ফেরার সময় তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

এদিকে, এই ঘটনায় অভিযোগ জানাতে বালি থানায় যান বিশাল। কিন্তু বিষয়টি জিআরপির আওতাধীন বলে অভিযোগ নিতে চাইনি পুলিশ। অন্যদিকে, জিআরপিও অভিযোগ নিতে চায়নি। ফলে এলাকাটি কার তা নিয়ে দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে টানাপড়েন। শেষে বেলুড় জিআরপি অভিযোগ জমা নিয়ে তদন্ত শুরু করে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি জিআরপি। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে জিআরপি। বিশালের অভিযোগ, অভিযুক্তরা এলাকারই বাসিন্দা। বিশাল এবং আক্রান্ত দুই ছাত্রী বর্তমানে বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন