বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করে প্রেমিক বিয়ে করতে অস্বীকার করায় আত্মঘাতী কলেজছাত্রী। মেয়ের শেষ ইচ্ছা পূরণ করতে পরিজনরা দেহ প্রেমিকের বাড়ির সামনে নিয়ে গেলে তুমুল উত্তেজনা ছড়াল। ঘটনা বনগাঁর ছঘরিয়া এলাকার। নিহত তরুণীর নাম রিয়া দাস। তিনি বনগাঁর দীনবন্ধু কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। অভিযুক্ত যুবক সুরজ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার।
নিহত তরুণীর পরিবার জানিয়েছে, তিন বছর ধরে রিয়ার সঙ্গে সুরজের প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রিয়ার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছে সুরজ। কিন্তু গত কয়েকমাস ধরে রিয়াকে এড়িয়ে চলছিল সে। এর পরই যাবতীয় বিবাদের সূত্রপাত।
রিয়ার এক আত্মীয় জানিয়েছেন, শারীরিক সম্পর্কের ফরে গর্ভবতী হয়ে পড়েছিল রিয়া। সুরজকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিচ্ছিল সে। পালটা গর্ভপাত করানোর জন্য রিয়াকে চাপ দিচ্ছিল সুরজ। এরই মধ্যে সুরজ রিয়াকে জানায়, তোমাকে বিয়ে করলে আমার মা আত্মঘাতী হবেন। তোমার জন্য আমি মা-কে হারাতে পারব না। তুমি চলে গেলে আমার কিছু আসে যায় না।
এর পরই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন রিয়া। কর্মসূত্রে কৃষ্ণনগরে থাকেন তরুণীর মা। শনিবার সেখানে আত্মঘাতী হন তিনি। রবিবার ময়নাতদন্তের পর দেহ নিয়ে সুরজের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন রিয়ার পরিজনরা।
রিয়ার কাকার দাবি, আত্মঘাতী হওয়ার আগে সুরজের সঙ্গে তাঁর ছবি সোশ্যাল সাইটে পোস্ট করেন রিয়া। তার পর লেখেন, তুমি ঠিক করলে না। আমাকে যে হাত দিয়ে সিঁদুর পরিয়েছিলে, সেই হাত দিয়ে মুখাগ্নি করবে। মেয়ের শেষ ইচ্ছা পূরণ করতে দেহ ছেলেটার বাড়ির সামনে নিয়ে এসেছি।
পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, সুরজের বিরুদ্ধে কৃষ্ণনগর ও বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।