বাংলা সফরে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। পূর্ব বর্ধমানে বক্তব্য রাখেন তিনি। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, 'সংঘের তো একটাই কাজ সমাজকে সংগঠিত করা, সংগঠিত রাখা। এর জন্য এই ধরনের জীবন যাপন করতে পারবেন এমন স্ময়ংসেবকদের তৈরি করা। এটাই সংঘের কাজ। সংঘের কাজকে বুঝতে হবে। অনেক শতক পরে এমন কাজ ভারতে হচ্ছে। আমার মনে হচ্ছে তথাগত বুদ্ধের পরে প্রথম এই ধরনের কাজ গোটা ভারতে হচ্ছে। এগুলি বোঝার জন্য সময় লাগে। যাদের ভয় লাগবে তাদের স্বার্থের দোকান বন্ধ হয়ে যাবে তারা নানারকম অপপ্রচার করেন। নানা ধরনের ভুল কথা বলেন। কিন্তু আমার অনুরোধ হল সংঘকে বোঝার জন্য় সংঘের ভেতরে আসুন। এই সংঘের ভেতরে আসার জন্য় কোনও ফিজ দিতে হয় না। কোনও আনুষ্ঠানিক সদস্যপদেরও ব্যাপার নেই। মন চাইলে আসতে পারেন। আর মন যদি না চায় তবে চলেও যেতে পারেন। সংঘকে দেখুন। এর ভেতরে আসুন। আমি যা বলি, বার বার বলি… সংঘের স্ময়ং সেবক হয়ে যান। এটা ভালোবাসার উপর কাজ। এখানে জবরদস্তি নেই। কিছুই মিলবে না। স্বার্থহীন কাজ। লোভ লালসার ব্যাপার নয়। এখানে কিছুই মিলবে না। উলটে আপনার কাছে যা আছে তা দিতে হবে।' বললেন সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত।
পূর্ব বর্ধমানের সভায় স্ময়ংসেবকদের সামনে বক্তব্য রাখলেন আরএসএস প্রধান। তিনি জানিয়েছেন, দূর থেকে যখন কেউ সংঘকে দেখে তখনই ভুলবোঝাবুঝি তৈরি হয়। ভেতরে আসুন।
হাতি ও দৃষ্টিহীন মানুষের সেই প্রচলিত গল্পের কথা উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, মানুষ অনেক সময় দূর থেকে সংঘের বিষয়টি বুঝতে পারেন না। সেকারণে তিনি সংঘের ভেতরে থেকে কাজ করার আহ্বান করেন।
তিনি জানিয়েছেন, সংঘ গোটা দেশ জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে। ৭০,০০০ শাখা রয়েছে গোটা দেশে। আমরা বলি বিশ্বের সবথেকে বড় সংগঠন। কিন্তু কেন আমরা আরও বৃদ্ধি করতে চাইছি? সেটা আমাদের নিজেদের জন্য নয়, সেখানে যদি আমাদের নাম না থাকে তবেও কিছু হবে না। তবে সমাজ যদি ঐক্য়বদ্ধ থাকে তবে এটা দেশকে ও গোটা বিশ্বের পক্ষে উপকারী হবে।
তিনি বলেন, ভারত সকলের সঙ্গে বন্ধুত্বে বিশ্বাসী। যারা আমাদের শত্রু হতে চায় আমরা তাদের সঙ্গেও বন্ধুত্বে বিশ্বাসী। এটাই আমাদের ইতিহাস। এটাই আমাদের বর্তমান। বাকিটা তাদের স্বার্থের ব্যাপার। আমরা সম্পর্ক নিয়ে ভাবি।