মাছ বিক্রেতা থেকে আজকের অনুব্রত। বিপুল প্রতিপত্তি। দৈনিক আয়ের বহর দেখে হতবাক তদন্তকারীরাও। তেমনই দাপট। কিন্তু কীভাবে আসত এত টাকা? সেই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে সিবিআই। আর সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের রাডারে এবার অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের কোম্পানি। অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। সেই মেয়ের নামেও তৈরি হয়েছিল কোম্পানি। অন্তত দুটি কোম্পানি রয়েছে অনুব্রতর মেয়ের নামে। একটি কোম্পানি অ্য়াগ্রো কেমিক্যাল সংক্রান্ত। সেই কোম্পানিতে অনুব্রতর নামে শেয়ার রয়েছে ২৫ শতাংশ। বাকি শেয়ার তার কন্যার নামে।
অপর একটি কোম্পানি নির্মাণ সংক্রান্ত। সেই কোম্পানি কন্যা ও স্ত্রীর নামে ছিল। প্রশ্ন উঠছে এই কোম্পানি দুটিতে কি পাচারের টাকা বিনিয়োগ হত?
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, গরু, কয়লা, অবৈধ বালি খাদানের বিপুল টাকা এসে জমা হত অনুব্রতর কোষাগারে। এরপর সেই টাকাই কি বিনিয়োগ হয়ে যেত বিশেষ কোম্পানিতে? আর সেই কোম্পানিই এবার সিবিআইয়ের নজরে। এমনকী কোম্পানির আড়ালে একের পর এক রাইস মিল কেনা হত বলে অভিযোগ।
তবে কি এভাবেই আবর্তিত হত পাচারের টাকা? তবে এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে পার্থ-অর্পিতার ছকের মিল পাওয়া যাচ্ছে। ‘অপা’র ক্ষেত্রে ঠিক এভাবেই বিপুল টাকা নানা কোম্পানিতে বিনিয়োগ হত বলে খবর। অনুব্রতর ক্ষেত্রেও কি একই ভাবে পাচারের টাকা বিনিয়োগ হয়ে যেত একাধিক কোম্পানিতে? অনুব্রত মাঝেমধ্যেই চালকল ও জমি কিনতেন বলে সূত্রের খবর। তবে এবার তদন্তকারীদের নজরে এই কোম্পানির বিভিন্ন লেনদেন। ঋণ সংক্রান্ত ব্যাপার, বিপুল টাকার উৎস খতিয়ে দেখা হচ্ছে।