ফের ঘূর্ণিঝড় আমফানে ক্ষতিপূরণ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ। এবার তারকেশ্বরে এক এসি বসানো দোতলা বাড়ির মালিক ও তার ভাড়াটে ক্ষতিপূরণ পেয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এই নিয়ে স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব সরব হলে চাপের মুখে তালিকা থেকে তাঁদের নাম বাদ দেন তারকেশ্বর পুরসভার প্রশাসক।
আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির তালিকায় তারকেশ্বরে ১১ জনের নাম ওঠে। তাদের মধ্যে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের এক দোতলা বাড়ির মালিকেরও নাম ছিল। নাম ছিল তাঁর ভাড়াটের। যে মহিলার নাম তালিকায় উঠেছে তাঁর স্বামী স্থানীয় কাউন্সিলরের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে এক এসি বসানো বাড়ির মালিকের নামও তালিকায় রয়েছে বলে দাবি।
এই নিয়ে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও হুগলির জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানান তারকেশ্বর টাউন কংগ্রেস সভাপতি শৈল ঘোষ। তিনি বলেন, সরকারি প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করছে একশ্রেণির মানুষ। তাই বিষয়টি গোচরে এনেছি।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতে অস্বস্তি এড়াতে তৎপর হয় প্রশাসন। তারকেশ্বর পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারপার্সন স্বপন সামন্ত বলেন, ‘তালিকা তৈরি হলেও টাকা এখনো সবাই পাননি। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় যে সব ব্যক্তির কোনও ক্ষতি হয়নি তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।’
অভিযুক্ত কাউন্সিলর রীতা মণ্ডলের দাবি, ‘যে ব্যক্তির বাড়ির ক্ষতি হয়েছিল তালিকা তৈরির তাড়াহুড়োর মধ্যে তাঁকে পাওয়া যায়নি। বদলে আমার ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তির নাম তালিকায় রাখা হয়। টাকা পেলে ক্ষতিগ্রস্তকে তা দিয়ে দেওয়া হত।‘
বলে রাখি, ঘূর্ণিঝড় আমফানের পর রাজ্যের ৫ লক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিককে ২০,০০০ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধীদের অভিযোগ, সেই টাকা নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতি হচ্ছে। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের বদলে টাকা পাচ্ছেন তৃণমূল ঘনিষ্ঠ পাকা বাড়ির মালিকরা।