মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের পর এবার বন্যার ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতে। এই দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান এবং তৃণমূল সদস্যদের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যদের জড়িত থাকারও অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরেই টাকা সরকারি তহবিলে ফিরতে শুরু করেছে। এ নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বিডিও।
কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতে বন্যার ত্রাণে দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন সিপিএম নেতৃত্ব। তারা জেলাশাসকের কাছে এনিয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, বন্যায় যারা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন তারা টাকা পাননি উল্টে একই ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে ২ থেকে ৩ বার টাকা ঢুকেছে। এমনকি যার বয়স এখনও পর্যন্ত ১৮ বছর হয়নি তার অ্যাকাউন্টেও টাকা ঢুকেছে।
এ বিষয়ে সিপিএম জেলা কমিটির সদস্য মিরাজুল ফিরদৌস জানিয়েছেন, যারা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত তারা টাকা পায়নি উল্টে প্রভাবশালীরা নিজেদের নামে টাকা করে নিয়েছেন। বিজয় রায় নামে স্থানীয় বাসিন্দার বক্তব্য, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা টাকা পাননি। উল্টে বিত্তশালীরা টাকা পেয়েছেন। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। যদিও তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর দাবি, তিনি টাকা ফিরিয়ে দিয়েছেন। তবে এই ঘটনার পিছনে ষড়যন্ত্র দেখছে বিজেপি।
উত্তর মালদার সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সম্পাদক কিষাণ কেডিয়া বলেন, ‘তৃণমূল প্রধান, উপপ্রধানের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে সেটা মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু, একজন বিজেপি সদস্যের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে সেটা মেনে নেওয়া যায় না। এটা ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।’ যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের চেয়ারম্যান সঞ্জীব গুপ্ত জানিয়েছেন, আইন আইনের পথে চলবে। যারা টাকা পেয়েছেন তারা টাকা ফিরিয়ে দেওয়া শুরু করেছেন।