মন মতো রায় পেতে বিচারকদের আবাসনে দুষ্কৃতী পাঠানোর অভিযোগ পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগ করেছেন ডায়মন্ড হারবার আদালতের ৩ জন বিচারক। ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিচারক ও আইনজীবীদের মধ্যে। জেলা জজকে লেখা বিচারকদের অভিযোগপত্র প্রকাশ করে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পশ্চিমবঙ্গে বিচারবিভাগও আক্রান্ত।
আরও পড়ুন - ‘পুলিশ সঙ্গে না থাকলে এদের চামড়া তুলে ডুগডুগি বাজাতে ১ মিনিট লাগবে না’
পড়তে থাকুন - আরজি কর নিয়ে আর কোনও বিবৃতি নয়, বলবেন শুধু মমতা, নির্দেশ মন্ত্রিসভার বৈঠকে
ডায়মন্ড হারবার আদালতের ৩ জন বিচারক জেলা জজ শুভ্রদীপ মিত্রকে চিঠি দিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন, গত ৮ সেপ্টেম্বর রাত ১১টা ৩০ মিনিট নাগাদ আবাসনের গেটে পাহারায় থাকা এক হোমগার্ড জানান কুমারেশ দাস নামে এক পুলিশ আধিকারিক এক বিচারকের আবাসনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে ও তাঁর ক্ষতি করতে ২ ব্যক্তিকে পাঠিয়েছেন। রাত দেড়টা নাগাদ মুখে কাপড় বাঁধা ২ দুষ্কৃতী আবাস পাহারার দায়িত্বে থাকা হাউস গার্ডদের কাছে আবাসনের ভিতরে ঢোকার অনুমতি চায়। কিন্তু বিচারকের প্রাণের ঝুঁকি হতে পারে এই আশঙ্কায় হাউস গার্ডরা তাদের অনুমতি দেননি। রাত ১টা ১৩ মিনিট নাগাদ বিচারক ডায়মন্ড হারবার থানার আইসিকে ফোন করেন। প্রথমে ফোন ধরেননি তিনি। পরে ফোনে তাঁকে গোটা বিষয়টি জানালে ২০ মিনিট পর তিনি বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন। একই সঙ্গে সুরক্ষার আশ্বাস দেন।
বিচারকরা জানিয়েছেন, POCSO আইনে আদালত কয়েকটি রায় ঘোষণার পর এই ঘটনা ঘটেছে। ডায়মন্ড হারবারে বিচারকরা সুরক্ষিত বোধ করছেন না। এই অবস্থায় তাদের পক্ষে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে তাদের গুরুতর সমস্যা হচ্ছে। পরিবারকে নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন বিচারকরা।
আরও পড়ুন - কারচুপি করতে কি ১৪ বছর লাগে? মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে তিরস্কার কলকাতা হাইকোর্টের
অভিযোগ পত্রের প্রতিলিপি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সুকান্তবাবু লিখেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পশ্চিমবঙ্গে বিচারবিভাগও আক্রান্ত। ডায়মন্ড হারবার থেকে উদ্বেগজনক খবর আসছে, যাতে বিচারকদের বাসস্থানে হামলার চক্রান্ত করছেন কুমারেশ দাস নামে এক পুলিশ আধিকারিক।’