পরের বছর রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে দুর্গাপুরের প্রশাসনিক বৈঠকে উন্নয়নকেই হাতিয়ার করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়ে দিলেন, ‘রাস্তা দেখেই লোকে ভোট দিয়ে যাবে। না হলে ভোট এসে যাবে আর বসে ললিপপ খাবেন।’
এদিন দুর্গাপুরের প্রশাসনিক বৈঠকে রাস্তা তৈরির ওপর জোর করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘ভোটের আগে রাস্তা তৈরির কাজ সম্পূর্ণ করুন। দেখবেন, রাস্তা দেখেই মানুষ ভোট দিয়ে যাবে।’ এদিন মুখ্যমন্ত্রী জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতিকে রাস্তা তৈরির কাজের ভারও দেন। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের বলেন, ‘আমি নিজে জীবনে ইট বয়ে রাস্তা তৈরি করেছিলাম। আমার খুব ভালো লাগে এগুলি করতে।’ একইসঙ্গে তিনি নির্দেশ দেন, ‘পঞ্চায়েত সমিতির টাকা দিয়ে গ্রামীণ রাস্তা তৈরি করুন। গ্রামীণ রাস্তা খারাপ হলে কেউ ভোট পাবেন না। রাস্তা ভালো দেখে খুশি হয়ে মানুষ ভোট দেবে। প্রয়োজন হলে নিজে মাথায় ইট বইবেন। দরকার হলে আমাকেও ডাকবেন।’
এদিন দুর্গাপুরের সভা থেকেই মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কেন্দ্র টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। নতুন করে আর আবাস যোজনায় নাম নথিভুক্ত নয়। যে নাম নথিভুক্ত রয়েছে, সেখানে বাড়ি তৈরির টাকা দেবে রাজ্য সরকার। এদিনের বৈঠক থেকেও সিবিআইকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘টোটো চালক থেকে তৃণমূল কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদের নামে হেনস্তা করা হচ্ছে।’