চা বাগানের মালিকানা কার দখলে থাকবে এনিয়েই বিরোধের সূত্রপাত। আলিপুরদুয়ারের ২ নম্বর ব্লকের কোহিনূর বাগানে একেবারে ধুন্ধুমার কাণ্ড। রবিবার রাতে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। সোমবারও এলাকা ছিল থমথমে। মালিকানা হস্তান্তর নিয়ে আইনী জটিলতা চলছিল। এরপর বাগানের অন্যতম স্বঘোষিত কর্তা আদালতের রায় অমান্য করেছেন এই অভিযোগে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এরপরই পুলিশের উপর চা শ্রমিকদের একাংশের রোষ আছড়ে পড়ে।
শামুকতলা থানার সামনে স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এরপর পরিস্থিতি ক্রমেই বিগড়ে যেতে থাকে। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির প্রধানের বাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। শামুকতলার থানার সামনেও চলে দফায় দফায় বিক্ষোভ। এরপর রবিবার রাতে কুমারগ্রাম থানা ঘেরাও করেও বিক্ষোভ দেখায় উত্তেজিত জনতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয়। সূত্রের খবর পরিস্থিতি এতটাই অগ্নিগর্ভ হয়ে যায় যে পুলিশ শূন্যে গুলি চালাতেও কার্যত বাধ্য হয়। তবে এব্যাপারে পুলিশ কর্তারা মুখ খুলতে চাননি।
শ্রমিকদের একাংশের অভিযোগ মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই জটিলতা চলছে। সূত্রে বাগানটিকে কেশব সিনহা নামে এক ব্যক্তির কাছে ৫ বছরের জন্য লিজ দেওয়া হয়েছিল। এদিকে তিনি লিজের শর্ত পালন করেননি বলে অভিযোগ। এনিয়ে জটিলতা বাড়তে থাকে। আদালতে যান কেশব সিনহা।বর্তমানে আদালতের রায়ে কোহিনূরের মালিকানা ওমপ্রকাশ আগরওয়ালের পরিবর্তে কেশবকে হস্তান্তর করা হয়েছে। কিন্তু তিনি তারপরেও মালিকানা ছাড়েননি বলে অভিযোগ।