তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সামশেরগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে প্রচারে এসে বলেছিলেন, ‘বিজেপির কাছে হারে কংগ্রেস। আর আমরা বিজেপিকে হারাই। তাই সব ভোট দেবেন তৃণমূল কংগ্রেসকে।’ বৃহস্পতিবার অন্য দুই কেন্দ্রের মতো এখানেও ভোট ছিল। ব্যাপক হার দেখা গিয়েছে এখানের ভোটে। কিন্তু সামশেরগঞ্জের ৯টি বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি করলেন ওই কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী জইদুর রহমান।
কিন্তু কেন এই দাবি করেছেন তিনি? কংগ্রেস প্রার্থীর অভিযোগ, ‘কংগ্রেসের পোলিং এজেন্টদের বুথ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। বুথ কার্যত দখল করে নেয় তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা। তাই মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে পুনরায় ৯টি বুথের ভোটের দাবি করেছি।’ পাল্টা এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘বিরোধীদের দেখাই যায়নি। হার নিশ্চিত জেনেই অভিযোগ তুলছে কংগ্রেস।’
ভোটের দিন অভিযোগ ওঠে সামশেরগঞ্জের কংগ্রেসের প্রার্থী জইদুর রহমান এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতার বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন। এমনকী সেখানে বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে। যদিও জইদুরের দাবি, মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। যদিও এই কেন্দ্রে দেখা যায়, আধা সামরিক বাহিনীর কড়া ভূমিকা। বুথের সামনে কাউকে ঘেঁষতে দেননি জওয়ানরা।
এখন কংগ্রেস যে অভিযোগ তুলেছে তা মেনে নেবে কিনা নির্বাচন কমিশন সেটা দেখা হচ্ছে। ৯টি বুথেই পুনর্নির্বাচন কার্যত বড় দাবি। সেটা না হওয়ারই সম্ভাবনা বেশি। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নাচতে না জানলেই উঠোন বাঁকা বলা হচ্ছে। জামানত বাজেয়াপ্ত হবে বুঝতে পেরেই এখন আষাঢ়ে গল্প তৈরি করছে কংগ্রেস।