কিছুদিন আগে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীকে ক্ষোভ উগড়ে দিতে দেখা গিয়েছিল। কারণ কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে অস্বীকার করেছিলেন জইদুর রহমান। তারপর তাঁকে বিস্তর বোঝানোর পর অবশেষে প্রার্থী হয়েছেন সামশেরগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের। এবার কংগ্রেস প্রার্থী জইদুর রহমান প্রচারের মঞ্চে ক্ষোভ উগরে দিলেন।
কী ক্ষোভ উগড়ে দিলেন তিনি? একাধিক বুথ দখলের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘ঝাড়খণ্ড থেকে দুষ্কৃতীদের আনা হয়েছে বুথ দখল করার জন্য। ৭০টি বুথ দখল করতে চায় ওরা। নির্বাচন কমিশনের লোক সভায় আছেন। তাঁরা ব্যবস্থা নিন। সমস্ত বুথে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর ব্যবস্থা করুন নির্বাচন কমিশন।’
এই সভায় উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের দুই সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী ও অধীর চৌধুরী। কিন্তু এদিন বোগদাদনগরের সভায় সব আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দু হয়ে ওঠেন প্রার্থী জইদুর। এই প্রথম তিনি মঞ্চে উঠে তার ক্ষোভের কথা উগড়ে দিলেন এবং কেন্দ্রটি স্বচ্ছ করার ডাক দিলেন। তাই জইদুর রহমান বলেন, ‘যার একটা ভাঙা মোটরবাইক ছাড়া কিছু ছিল না, জুতোর ফিতে কেনার পয়সা ছিল না, এখন পাঁচ বছরে সে ৫টি বাড়ির মালিক হয়েছে। কী করে এত জমি, এত গাড়ি কিনলেন তিনি? সবাই সব জানে। তাই এই নির্বাচনে তাঁদের রুখে দিন’।
কংগ্রেস প্রার্থীর নিশানা যে তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে তা স্পষ্ট বোঝা যায়। এমন অভিযোগ বারবার তুলেছেন অধীর চৌধুরীও। তবে এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জঙ্গিপুর জেলার সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, ‘আমি এই সব নিয়ে কোনও কথা বলব না। মানুষ এসব অপপ্রচারের জবাব দেবে। সামশেরগঞ্জে কাটমানি যাঁরা খেয়েছেন তাঁরাই তার উত্তর দিতে পারবেন।’ অর্থাৎ কংগ্রেসের দিকেই তিনি তির ঘুরিয়ে দিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।