সম্প্রতি বিভিন্ন রাজ্যের জেলাশাসকদের নিয়ে বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যেখানে অনুপস্থিত ছিলেন বাংলার জেলাশাসকরা। পিএম টু ডিএম মডেল নিয়ে উঠে গিয়েছিল প্রশ্ন। কেন প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে বাংলার জেলাশাসকরা যোগ দেননি? তাই নিয়ে ফুঁসে উঠেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার এই জেলাশাসকদের অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়ালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী।
ঠিক কী বলেছেন অধীর? আজ, সোমবার বহরমপুর জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘ডিএম, আইপিএস বা ফরেস্ট অফিসার এগুলি অল ইন্ডিয়া সার্ভিস হলেও এতদিন তা রাজ্যের তত্ত্বাবধানেই চলত। তবে প্রধানমন্ত্রী এখন রাজ্যের থেকে আলাদা করতে চাইছে ভারতবর্ষের জেলাশাসকদের। জেলাশাসকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক যদি করতেই হয় তাহলে সেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেও রাখা উচিত ছিল।’
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুরের ঘটনায় সরাসরি তদন্ত করার দাবি জানিয়েছেন। বিজেপির ঘর ভেঙে কংগ্রেসের ঘর তৈরি হচ্ছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। তবে জেলাশাসকদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করে বিজেপির ধোঁয়া তোলা কার্যত ভেস্তে দিলেন তিনি।
এই বিষয়ে নেতাজির সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তীতে রেড রোড থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘যে বিজেপি সরকার যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ভেঙে দিয়েছে, তা আমরা শক্তিশালী করে তুলব।’ আইপিএস–আইএএস ক্যাডার রুলে সংশোধনী আনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠিও দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বেশ কয়েকটি রাজ্য এই নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে।