একদিনে যেখানে দু্র্নীতির অভিযোগে জ্বর্জরিত রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস, সেখানে বিরোধী দল বিজেপি নাজেহাল অন্তর্দ্বন্দ্বে। এই আবহে ফের একবার মুর্শিদাবাদে ঘুরে দাঁড়ানোর নীলনকশা তৈরি করছে কংগ্রেস। কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাস দাবি করলেন, সম্প্রতি ভগবানগোলার ১০০, বড়ঞা ১৬০ সহ জেলা জুড়ে প্রায় দেড় হাজার সমর্থক কংগ্রেস শিবিরের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন।
দীর্ঘ কয়েক দশক মুর্শিদাবাদকে অধীর গড় হিসেবেই চিহ্নিত করা হত। বাম জমানার পর দীর্ঘদিন তৃণমূল জমানাতেও এই জেলায় নিজেদের পায়ের নিচের মাটি শক্ত রেখেছিল কংগ্রেস। তবে ২০১৬ সাল থেকে ধীরে ধীরে এই জেলাতেও কংগ্রেসের শক্তি ক্ষয় শুরু হয়। ২০২১ সালে এসে তো কংগ্রেস শূন্য হয়ে যায়। এই জেলার ২২টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ২০টি দখল করে নেয় তৃণমূল। বাকিগুলি যায় বিজেপির ঝুলিতে। তবে আগামী বছরের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ধীরে ধীরে নিজেদের শক্তি ফের বৃদ্ধি করতে শুরু করল কংগ্রেস।
গত দুমাসে জেলায় ১৭টি চিন্তন শিবির করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। সেই শিবিরেই কংগ্রেস সাংসদের হাত ধরে হাজারের বেশি মানুষ কংগ্রেসে নাম লিখিয়েছেন। এদিকে সম্প্রতি লালগোলায় একটি পঞ্চায়েত তৃণমূলের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে বাম-কংগ্রেস জোট। এখন দেখার আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিজেপিকে সরিয়ে তৃণমূলের মূল চ্যালেঞ্জার হয়ে উঠতে পারে কিনা বাম-কংগ্রেস। বাম জাঠাও ঢুকেছে মুর্শিদাবাদে। জেলাজুড়ে বাম জাঠা ব্যাপক প্রভাব ফেলবে বলে দাবি এসএফআই, ডিওয়াএফআই-এর। যদিও বিষয়টিতে গুরুত্ব দিচ্ছে না বলে দাবি তৃণমূল। তাদের দাবি, মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের উপর ভরসা রাখবে।