বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Berhampur kidnapping and murder case: বহরমপুরে অপহরণ করে খুনের ঘটনায় পুলিশের জড়িত থাকার অভিযোগ, CBI দাবি অধীরের

Berhampur kidnapping and murder case: বহরমপুরে অপহরণ করে খুনের ঘটনায় পুলিশের জড়িত থাকার অভিযোগ, CBI দাবি অধীরের

বহরমপুরের মৃত যুবকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন অধীর চৌধুরী। নিজস্ব ছবি

আজ বাপ্পার বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সদস্যের সঙ্গে দেখা করেন অধীর চৌধুরী। এরপরেই তিনি বাগুইআটি, কসবা, ইলামপুর সহ রাজ্যে সম্প্রতি ঘটে চলা একের পর এক অপহরণের ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকার এবং পুলিশের ভূমিকার কড়া নিন্দা করেন। তিনি বলেন, ‘হয়তো অপহরণকারীদের সঙ্গে পুলিশের একটা অংশ জড়িত রয়েছে।’

বহরমপুরে যুবককে অপহরণ করে খুনের ঘটনায় পরোক্ষে পুলিশের জড়িত থাকার অভিযোগ তুললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তার অভিযোগ, পুলিশের মদত ছাড়া এরকমভাবে অপহরণ করা সম্ভব নয়। একইসঙ্গে, পশ্চিমবঙ্গে অপহরণরাজ চলছে বলেও তিনি কটাক্ষ করেন। চতুর্থীর সকালে বহরমপুরে একটি রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছিল বহরমপুরের উত্তরপাড়ার বাসিন্দা বাপ্পা মণ্ডল নামে এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ। পরিবারের তরফে অভিযোগ তোলা হয় অপহরণকারীরাই তাকে খুন করেছে। এই ঘটনায় উৎসবের মরশুমে শোকের ছায়া নেমে আসে বাপ্পার পরিবারে।

বাগুইআটি কাণ্ডের ছায়া বহরমপুরে, অপহরণ করে যুবককে খুন! বন্ধুরাই কি জড়িত?

আজ বাপ্পার বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সদস্যের সঙ্গে দেখা করেন অধীর চৌধুরী। এরপরেই তিনি বাগুইআটি, কসবা, ইলামপুর সহ রাজ্যে সম্প্রতি ঘটে চলা একের পর এক অপহরণের ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকার এবং পুলিশের ভূমিকার কড়া নিন্দা করেন। তিনি বলেন, ‘হয়তো অপহরণকারীদের সঙ্গে পুলিশের একটা অংশ জড়িত রয়েছে। তাছাড়া অপহরণকারীরা এত সাহস পাচ্ছে কোথা থেকে।’ এরপর তিনি রাজ্য সরকারেরকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে কোনও অপরাধ পুলিশের মদত ছাড়া হয়নি।’ এপ্রসঙ্গে তিনি কয়লা পাচার কাণ্ড, গরু পাচার কাণ্ডের উদাহরণ টেনে আনেন। বাগুইআটির ঘটনার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ আমি বাগুইআটি গিয়েছিলাম। যে অপরাধী সে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল। প্রথমে পুলিশ পদক্ষেপ করেনি। অথচ সেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর পুলিশ নড়েচড়ে বসে।’

অধীরের অভিযোগ, রাজ্যে অপহরণ রাজ চলছে। তার স্পষ্ট দাবি,‘ এই ঘটনায় পুলিশ পদক্ষেপ না করতে পারলে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সিবিআই তদন্ত চেয়ে আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হব।’ অধীর চৌধুরী ছাড়াও এদিন সিপিএম জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা, ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা বাপ্পার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, অপহরণকারীরা খুনের পর মুক্তিপণ দাবি করছিল। তবে যে গ্যাং এই কাণ্ড ঘটিয়েছে তাঁদের চিহ্নিত করা গিয়েছে বলেই পুলিশ সূত্রের খবর।

বন্ধ করুন