ভবানীপুর উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কোনও প্রার্থী দাঁড় না করিয়ে 'বন্ধুত্বে'র বার্তা দিয়েছিল কংগ্রেস। জাতীয় স্তরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডাক পেয়েছিলেন সোনিয়া গান্ধীর ডাকা বৈঠকে। তবে সেই বন্ধুত্বর হাত শক্ত করে ধরেনি তৃণমূল। এই আবহে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সবার নিশানাতেই কংগ্রেস। সম্প্রতি তৃণমূল মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে জাতীয় স্তরে কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করা হয়। 'পচাডোবা' আখ্যা দেওয়া হয় শতাব্দী প্রাচীন দলকে। এই পরিস্থিতিতে এবার কংগ্রেসের হয়ে মমতাকে প্রতিআক্রমণে নামলেন অধীর চৌধুরী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিজেপির 'ট্রয়ের ঘোড়া' বা এজেন্ট বলে আক্রমণ শানালেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধিরী। অধীর বলেন, 'যে হাত তাঁকে খাওয়ায়, মমতা সবসসময় সেই হাতেই কামড় বসাতে চেয়েছেন। বিরোধী ঐক্য গঠনের থেকে তাঁকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে। মমতা হল বিজেপির ট্রয়ের ঘোড়া। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যাঁকে কখনও ভরসা করা যায় না।'
কংগ্রেস সাংসদের কথায়, 'আসলে দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর রাস্তায় সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে কংগ্রেস। যতদিন কংগ্রেস রয়েছে, ততদিন মমতা কখনই বিরোধী জোটের নেত্রী হতে পারবেন না। সেই কারণে তিনি কংগ্রেসের ভাবমূর্তি ও নেতৃত্বকে ক্রমাগত খাটো করে দেখানোর চেষ্টা করছেন।'
অধীর এদিন আরও বলেন, 'ইডি এবং সিবিআই থেকে নিজের পরিবার ও দলীয় নেতাদের বাঁচাতে মমতা মরিয়া হয়ে প্রধানমন্ত্রীকে খুশি করার চেষ্টা করে চলেছেন। আসলে, বিজেপির উদ্দেশ্য কংগ্রেস-মুক্ত ভারত। আর বিজেপির সেই লক্ষ্য পূরণ করতে তিনি সাহায্য করছেন। বিরোধী ঐক্যকে নষ্ট করতে চাইছে তৃণমূল।'