সাতসকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে মুখে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা জড়ানো কংগ্রেসের বুথ সভাপতির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ থানার গৌরী গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিন বিষ্ণুপুর গ্রামে। মৃত ব্যক্তির নাম দেবেশ বর্মন (৫০)। আগে তিনি সিপিআইএমের পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। পরে তিনি গৌরী গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেসের বুথ সভাপতি হয়েছিলেন। যদিও তিনি বিজেপির কর্মী বলে দাবি করেছে গেরুয়া শিবির। ফলে তিনি আসলে কোন দলের সদস্য তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সকালে আমগাছে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে দেবেশ বর্মনের দেহ। শরীরে উপর তৃণমূল কংগ্রেসে পতাকা জড়ানো। তাই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠাতে গেলে ব্যাপক অশান্তির মধ্যে পড়ে পুলিশ। মৃতদেহ ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় প্রতিবেশী এবং পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের সদস্যদের দাবি, সোমবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন দেবেশ। মঙ্গলবার ভোরে বাড়ি থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে একটি মেঠো রাস্তার ধারে আমগাছে ঝুলন্ত তাঁর দেহ দেখতে পাওয়া যায়। তাঁর সাইকেলও উদ্ধার হয়। এটা খুন না আত্মহত্যার ঘটনা তার তদন্তে ঘটনাস্থলে নামানো হয় পুলিশ কুকুর।
অনেকেই বলছেন, তৃণমূল কংগ্রেসকে বদনাম করার জন্য দুষ্কৃতীরা এই কাজ করে থাকতে পারে। সোমবার সন্ধ্যেবেলা চা খাওয়ার নাম করে সাইকেলে করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন দেবেশবাবু। আর তিনি বাড়ি ফেরেননি। মৃতের ছেলে বিদ্রোহী বর্মন বলেন, ‘চায়ের দোকান থেকে ফিরছিল বলে শেষ শুনেছিলাম। কিন্তু রাতে আর ফেরেনি। বাড়ির সামনেই রাস্তার পাশে সাইকেল পড়েছিল।’ দেবেশবাবুর স্ত্রী ও তিন মেয়ে এবং ছেলে রয়েছে। মৃতের স্ত্রী কলাবতী বর্মনের অভিযোগ, ‘আমার স্বামীকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মৃত দেবেশ বর্মন ২০১৩ সালে রায়গঞ্জ ব্লকের ৯ নম্বর গৌরী গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিআইএমের নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। ২০১৮ সালে তিনি দলবদল করে কংগ্রেসের হয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে দাঁড়িয়ে পরাজিত হয়েছিলেন। যদিও বিজেপি তাঁকে নিজেদের কর্মী বলে দাবি করেছে। আবার গায়ে জড়ানো ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা। যদিও এখনও পর্যন্ত থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।