মালদার কনুয়া ভবানীপুর এলাকায় এক কংগ্রেস নেতাকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। তিনি হলেন কংগ্রেস পরিচালিত হরিশ্চন্দ্রপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ নরেন্দ্রনাথ সাহা (৪৫)। অভিযোগ, তাঁরই দলের এক কর্মী গাড়ি দিয়ে পিষে খুন করেছেন। এই ঘটনায় আরও চারজন গুরুতর জখম হয়েছেন, যার মধ্যে দুইজন তৃণমূল নেতা। আহত বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মালদা, রায়গঞ্জ ও শিলিগুড়ির নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন। ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁকে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন: পুরুলিয়ায় আবর্জনার স্তূপ থেকে উদ্ধার মহিলার অর্ধনগ্ন দেহ, ধর্ষণ করে খুন?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত নরেন্দ্রনাথ কনুয়া ভবানীপুরের বাসিন্দা। পেশায় চাঁচল মহকুমা আদালতের আইনজীবী ছিলেন। আহতরা হলেন তৃণমূল নেতা চন্দ্রশেখর সাহা ও শশাঙ্ক সাহা এবং পুলক সাহা ও মনোজ কুমার দাস। স্থানীয়দের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে গাড়ি দিয়ে নরেন্দ্রনাথকে পিষে হত্যা করেছেন কংগ্রেস কর্মী বিপদ মণ্ডল। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার রাতে নরেন্দ্রনাথ ও বিপদের মধ্যে পুরনো বিষয় নিয়ে বচসা হয়েছিল। এরপর নরেন্দ্রনাথ বাড়ি চলে যান। কিছুক্ষণ পর বিপদ দুইটি বাইক নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় বিপদ দ্রুতগতিতে স্করপিও গাড়ি তাঁদের ওপর চালিয়ে দেন। ঘটনাস্থলেই নরেন্দ্রনাথের মৃত্যু হয়। জখমদের দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতের স্ত্রী মঞ্জু সাহা জানান, পুরনো শত্রুতার জেরেই পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে। আগেও বিপদ নরেন্দ্রনাথকে হুমকি দিয়েছিলেন। বিশেষ করে বাংলা আবাস যোজনার ঘর নিয়ে তাদের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়েছিল। তিনি অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন। প্রদেশ কংগ্রেসের সহ-সভাপতি মুস্তাক আলমও বলেন, মর্মান্তিক ঘটনা। পরিকল্পনা করেই নরেনকে হত্যা করা হয়েছে। অভিযুক্তকে শাস্তি দেওয়াই আবশ্যক। মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানিয়েছেন, হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হয়। পুলিশ ঘটনার আরও কোনও যুক্তি বা সহযোগী রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে। তদন্ত চলছে।