আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন। আর জঙ্গিপুর–সামশেরগঞ্জে নির্বাচন। এই নিয়ে এখন জোর প্রচার শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই কংগ্রেস ছাড়লেন ফরাক্কা থেকে পাঁচবারের জয়ী বিধায়ক মইনুল হক। মঙ্গলবার লিখিতভাবে দল ছাড়ার কথা জানিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে। তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে চলেছেন ফরাক্কার এই দীর্ঘদিনের কংগ্রেস বিধায়ক মইনুল হক বলে সূত্রের খবর।
জাতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কবে যোগ দিচ্ছেন? এই প্রশ্ন এখন উঠতে শুরু করেছে জেলাজুড়ে। তবে সূত্রের খবর, আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যাবেন মুর্শিদাবাদের দুই কেন্দ্রের প্রচারে। তখন জঙ্গিপুরে এসে অভিষেকের হাত ধরেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেবেন ফরাক্কার প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক। তাঁর সঙ্গে আরও কয়েকজন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন বলেও জানা গিয়েছে।
কিন্তু মইনুল হক কতটা হেভিওয়েট নেতা? কংগ্রেস সূত্রে খবর, ২০১৩ সাল থেকে টানা সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সম্পাদক তিনি। অতীতে তিনি কাশ্মীর কংগ্রেসের দায়িত্বেও সামলেছেন। এখন ঝাড়খণ্ড কংগ্রেসের দায়িত্বে ছিলেন। পাঁচবারের বিধায়ক। এমনকী সংগঠন বোঝেন মারাত্মকভাবে। তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ মইনুল।
সূত্রের খবর, সোমবার জঙ্গিপুরে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জাকির হোসেনের বাড়িতে একটি বৈঠক হয়। সেখানে ছিলেন জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি খলিলুর রহমান, সাংসদ আবু তাহের খান–সহ আরও অনেকে। ওই বৈঠকেই মইনুল হককে নিয়ে তৈরি হয়ে যায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। তারপরই কংগ্রেস ছাড়লেন তিনি। বৃহস্পতিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে মইনুল হকের।