কালীপুজোর পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর নাম থাকায় অনুষ্ঠানে অনুমতি দিচ্ছে না পুলিশ বলে অভিযোগ খোদ বহরমপুরের সাংসদের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। সব মিলিয়ে জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অধীরবাবুর অভিযোগ, কারও অঙ্গুলিহেলনে এই ঘটনা ঘটছে। তৃণমূল কংগ্রেস বাধা দিচ্ছে।
ঠিক কী ঘটেছে বহরমপুরে? আজ, শনিবার মুম্বই থেকে একটি সাংস্কৃতিক দল মুর্শিদাবাদে অনুষ্ঠান করতে আসার কথা রয়েছে। বহরমপুরের ওয়াইএমএ ময়দানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে প্রশাসন অনুমতি দিচ্ছে না বলে বহরমপুরের সাংসদের অভিযোগ। এই বিষয়ে অধীর চৌধুরী বলেন, ‘আমার নাম জড়িয়ে থাকার জন্য প্রশাসন বাধা দিচ্ছে।’
উল্লেখ্য, এখানে প্রায় ৪৬ বছর ধরে স্যান্টাফোকিয়া ক্লাবের কালীপূজা হয়ে আসছে। তবে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে গোরাবাজারে জজকোর্ট সংলগ্ন এলাকার এই পুজো অধীর চৌধুরীর বলেই পরিচিত। প্রত্যেকবার এখানে কালীপুজো হয়। তারপর এখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। জজ কোর্ট সংলগ্ন এলাকায় জায়গা কম বলেই ওয়াইএমএ ময়দানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করার তোড়জোড় শুরু হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানে অনুমতি দিচ্ছে না প্রশাসন বলে অভিযোগ।
ঠিক কী লিখেছেন চিঠিতে অধীর? মমতাকে লেখা চিঠিতে অধীর চৌধুরী লেখেন, এই কালীপুজোয় প্রত্যেকবার সাধারণ মানুষ আনন্দ করেন। ধর্ম–বর্ণ নির্বিশেষে বহু মানুষ এই পুজোয় আসেন। এবার মুম্বইয়ের শিল্পীদের এনে অনুষ্ঠান করার কথা ছিল। কিন্তু অনুমতি না মেলায় সেই অনুষ্ঠান বাতিল করতে হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অধীরবাবুর আর্জি জানান, ‘রাজনৈতিক তরজায় যেন সাধারণ মানুষকে প্রভাবিত হতে না হয়। এই পুজোকে ঘিরে মানুষের আবেগ জড়িয়ে আছে। আমার আপনার সঙ্গে কোনও ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। আমাদের প্রত্যেকেরই কিছু আদর্শ রয়েছে। দলগত পার্থক্য থাকলেও আমাদের উদ্দেশ্য সবসময়ই পশ্চিমবঙ্গে মানুষকে পরিষেবা দেওয়া।’