একুশের নির্বাচনের পর ভাঙন বেশি দেখা গিয়েছে বিজেপিতে। এবার সেই ভাঙন দেখা গেল কংগ্রেসের গড়েও। রীতিমতো প্রধান–সহ ৬ সদস্য যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। সঙ্গে সঙ্গে মালদহের মানিকচকে কংগ্রেসের হাতছাড়া হতে শুরু করল পঞ্চায়েত। যদিও ভয় দেখিয়ে দলবদল করানো হয়েছে বলে অভিযোগ জেলা কংগ্রেস সভাপতির। পাল্টা উন্নয়নে সামিল হতেই কংগ্রেস ত্যাগ বলে দাবি পঞ্চায়েত প্রধানের।
কংগ্রেসের গড়ে এই ফাটল ধরিয়ে বেশ চমকে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মালদহের মানিকচকে শোভানগর গ্রাম পঞ্চায়েতে ইতিমধ্যেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে ফেলেছে কংগ্রেস। কারণ পঞ্চায়েত প্রধান–সহ তিনজন কংগ্রেস সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। পাশাপাশি সেই পথে হেঁটেছেন আরএসপি, সিপিআইএম এবং নির্দলের তিন সদস্যও। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র।
এই বিষয়ে শোভানগর পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানকারী কংগ্রেস প্রধান রাখি রায় বলেন, ‘মমতাদির উন্নয়নের কাজ দেখে ওই পার্টিতে এসেছি। নিজের ইচ্ছাতেই যোগদান করেছি।’ উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের নির্বাচনে ১৮ আসনের শোভানগর গ্রাম পঞ্চায়েতে কংগ্রেস পেয়েছিল ৯টি আসন। তৃণমূল কংগ্রেস পায় ৬টি আসন। আর সিপিআইএম, আরএসপি এবং নির্দল একটি করে আসনে জিতেছিল। দলবদলের পর তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য সংখ্যা ৬ থেকে বেড়ে হল ১২। কংগ্রেসের সদস্য সংখ্যা কমে দাঁড়াল ৬।
এই যোগদানের পর মানিকচকের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র বলেন, ‘উন্নয়নে সামিল হতে বিরোধী সদস্যরা যোগ দিয়েছেন। এতে দল আরও মজবুত হবে।’ কংগ্রেসের জেলা সভাপতির পাল্টা অভিযোগ, ভয় দেখিয়ে দলবদল করিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিনই মালদহ জেলার বামন গোলা পঞ্চায়েত সমিতির দখল নিল তৃণমূল কংগ্রেস। এখানে আগে বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতি ছিল। কিন্তু এবার সেই পঞ্চায়েত সমিতি হাতছাড়া হল বিজেপির।