একুশের নির্বাচনে কংগ্রেস কটা আসন পেয়েছে? রাজ্য–রাজনীতিতে এই প্রশ্ন উঠলেই যে কেউ উত্তর দিতে পারবেন। কারণ তারা একটি আসনও পায়নি। এই পরিস্থিতিতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির নেতৃত্ব নিয়ে দোষারোপের পালা শুরু হয়েছে বিধান ভবনে। তার জেরে কড়া চিঠি পৌঁছেছে দিল্লিতে হাইকমান্ডের কাছে। এই পরিস্থিতিতে এবার মুর্শিদাবাদের কংগ্রেসে বড় ভাঙনের সম্ভাবনা তৈরি হল। কারণ তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুর্শিদাবাদ সফরের দিনই প্রণব–পুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–মন্ত্রী। তারপরই অভিজিতের দলবদল নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে।
বুধবার দিন মুর্শিদাবাদ সফরে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী আখরুজ্জামান, সাবিনা ইয়াসমিন মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমুল কংগ্রেসের সভাপতি তথা সাংসদ আবু তাহের খান, সাংসদ খলিলুর রহমান, বিধায়ক ইমানি বিশ্বাস, মহম্মদ সোহরাব এবং আমিরুল ইসলাম–সহ আরও অনেকে। সেখান থেকে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে যান তাঁরা। বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তাও হয় তাঁদের মধ্যে। তখনই দলবদলের জল্পনা তৈরি হয়েছে। যদিও এই বিষযে মুখ খোলেননি প্রণব–পুত্র।
দলবদলের কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আবু তাহের ফোন করে বলল সকলে একসঙ্গে আছি। দাদা, তোমার বাড়িতে চা খেতে যাব। আমি বললাম চলে এস। ওঁদের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত ভাল সম্পর্ক। এঁরা কেউই বাবার শ্রাদ্ধের সময় যেতে পারেননি। আজ আমার বাড়িতে এসে বাবা, মায়ের ছবিতে শ্রদ্ধা জানান। গল্পগুজব হয়। চা খেয়ে চলে যান। এটার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।’
উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনে অধীর চৌধুরীর গড়ে ভরাডুবি হয়েছে কংগ্রেসের। একটি আসনও জিততে পারেনি। এই পরিস্থিতিতে মুর্শিদাবাদের পাঁচবারের কংগ্রেস বিধায়ক মইনুল হকও কংগ্রেস ছাড়তে চলেছেন বলে সূত্রের খবর। তারপরই অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ও একই পথে হাঁটবেন কিনা তা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। আর তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এই বিষয়টি আরও জোরালো হয়ে উঠছে।