কংগ্রেস প্রতিনিধিদলকে জাঙ্গিপাড়ায় মৃত নাবালিকার বাড়ি যেতে বাধা দিল গ্রামবাসীরা। রাজনীতি চাই না বলে জেলা কংগ্রেস নেতাদের উপর চিৎকার করে উঠলেন গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের এই প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়ে পিছু হটল কংগ্রেসের প্রতিনিধিদল। জাঙ্গিপাড়া শ্রীহট্ট এলাকায় দশমীর রাতে নিখোঁজ হয় ১২ বছর বয়সের এক নাবালিকা। তিনদিন পর একটি ঝিলে তার মৃতদেহ ভাসতে দেখা যায়। এই ঘটনা নিয়ে তেতে ছিল গোটা গ্রাম। সেখানে কংগ্রেস প্রতিনিধিদল যেতেই তাড়া করেন গ্রামবাসীরা।
ঠিক কী ঘটেছে জাঙ্গিপাড়ায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তারপর থেকেই তেতে ছিল গোটা গ্রাম। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আর সেখানেই আজ, রবিবার জাঙ্গিপাড়ায় মৃত নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যায় কংগ্রেসের প্রতিনিধিদল। আর প্রবল বিক্ষোভ মুখে পড়তে হয়। এখানে গিয়েছিলেন উত্তরপাড়ার কাউন্সিলর কামাক্ষা সিং, রিষড়ার কাউন্সিলর জ্যোতি দাস–সহ মোট ১২ জন কংগ্রেস নেতা।
ঠিক কী বলেছেন গ্রামবাসীরা? কংগ্রেস নেতাদের দেখে তেড়ে যান গ্রামবাসীরা। তবে অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা ঘটেনি। এই পরিস্থিতিতে কয়েকজন উত্তেজিত গ্রামবাসী চিৎকার করে বলেন, ‘সারারাত জেগে প্রশাসন কাজ করেছে। পুলিশ তাদের কাজ করবে। আর এরা এখানে রাজনীতি করতে এসেছে। এখান থেকে চলে যান। বাড়ি ফিরে যান।’ এই ঘটনায় বেশ চাপে পড়ে যায় কংগ্রেস নেতারা। তারা পাল্টা সংবাদমাধ্যমে অভিযোগ করেছেন, এই ঘটনার পিছনে তৃণমূলের হাত আছে।
ঠিক কী বলছে তৃণমূল কংগ্রেস? এই ঘটনা নিয়ে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘পুলিশ প্রশাসনকে বলা হয়েছে দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের খুঁজে বের করতে হবে। আইনত তার চরমতম শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। আমাদের দলের পক্ষ থেকেও পুলিশের কাছে আবেদন করা হয়েছে দোষীদের খুঁজে বের করার জন্য। বিরোধীদল সেখানে আসতেই পারে। কিন্তু, অযথা মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়।’