পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রথম দিনেই চলল গুলি। মারা গেলেন এক কংগ্রেস কর্মী। কে আগে মনোনয়ন জমা দেবে তা নিয়ে তৃণমূল ও কংগ্রেস প্রার্থীদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। সেই সময় চলে গুলি। গুলিতে মৃত্যু হয় কংগ্রেস কর্মীর।
শুক্রবার ছিল পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রথম দিন। এই মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে উত্তেজনা তৈরি মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামের রতনপুর এলাকায়। সন্ধ্যাবেলা কে আগে মনোনয়ন জমা দেবে তা নিয়ে কথাকাটি শুরু হয়। এই কথা কাটাকাটির মধ্যে কেউ গুলি চালালে ফুলচান্দ শেখ নামে এক কংগ্রেস কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। জখম হন বেশ কয়েক জন। রক্তাক্ত অবস্থায় ফুলচান্দকে কান্দি মহাকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেইখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। আরও তিন জন কংগ্রেস কর্মী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
কংগ্রেসের অভিযোগ, হার নিশ্চিত জেনেই এই কাজ করেছে তৃণমূল। যদিও শাসক দল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের অভিযোগ, কংগ্রেসই অশান্তি পাকিয়ে গুলি চালিয়েছে। গুলিতে কোভির শেখ নামে এক তৃণমূল কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি তাদের।
(পড়তে পারেন। মনোনয়ন ফর্ম তুলতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে বিজেপি বিধায়ক, উঠল চোর স্লোগান)
আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে এক দফায় পঞ্চায়েত ভোট। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর্ব চলবে আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত। ২০ জুন মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে অশান্তির আশঙ্কা করছিলেন বিরোধীরা। সেই শঙ্কাকে সত্যি করে মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রথম দিনেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেলেন এক ব্যক্তি।
অধীরের প্রতিক্রিয়া
এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন,'আমি আগেই আশঙ্কা করেছিলাম ২০১৮-র মতো এই পঞ্চায়েত নির্বাচনও রক্তাক্ত হতে পারে। আজকে কংগ্রেস কর্মীকে খুন আমার সেই কথাকেই সত্যি প্রমাণ করল। পুলিশের মদতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে। আমরা কাল খড়গ্রামে প্রতিবাদ জানাব। '