জলপাইগুড়ি আইটিআই-এ শিক্ষকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে বিক্ষোভ। অন্য শিক্ষকদের অভিযোগ, অধ্যক্ষের তুঘলকি কাজকর্মেই চরম পরিণতি বেছে নিয়েছেন অভ্রজ্যোতি বিশ্বাস (২৮) নামে তরুণ ওই শিক্ষক। সুইসাইড নোটে তিনি মৃত্যুর জন্য আর্থিক অনটনকে দায়ী করেছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে আইটিআই-তে আসেন শিলিগুড়ির বাসিন্দা অভ্রজ্যোতি। এর কিছুক্ষণ পর প্রতিষ্ঠানেরই একটি ফাঁকা ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সঙ্গে উদ্ধার হয় সুইসাইড নোট।
অভ্রজ্যোতির সহকর্মীদের দাবি, অধ্যক্ষ রণবীর সিং ছুটি চাইলে দেন না। উলটে মাইনে কাটেন। ফলে এমনিতেই স্বল্প বেতনে কর্মরত আইটিআই শিক্ষকদের মাসের শেষে পাওনা আরও কমে যায়। এর মধ্যে অভ্রজ্যোতিই তাঁর পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিলেন। মা ও ভাইকে নিয়ে ছিল তাঁর সংসার। গত মাসে মাইনে কাটার হাত থেকে রক্ষা পেতে একদিন হাতে স্যালাইনের চ্যানেল নিয়েও আইটিআই-তে এসেছিলেন তিনি।
এই অভিযোগে এদিন অধ্যক্ষের ঘরে ঢুকে বিক্ষোভ দেখান আইটিআইয়ের শিক্ষকরা। তাঁর জন্যই যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। সাফাই দিয়ে রণবীরবাবু জানিয়েছেন, ‘চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের ছুটির বিধি মেনেই ছুটি দিয়েছি। বাড়তি কোনও ছুটি কারও পাওনা রয়েছে কি না জানতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।’
ওদিকে স্বামীর মৃত্যুর পর বড় ছেলে চলে যাওয়ায় ভেঙে পড়েছেন অভ্রজ্যোতির মা। ঘটনার তদন্তে নেমেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।